নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। রাত ২:৫৫। ১০ মে, ২০২৫।

নগরীতে স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে দুইজন গ্রেফতার

আগস্ট ১৩, ২০২৩ ৩:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নগরীর শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকার এ বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগি পরিবার নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা অভিযোগ দিলে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে থানা পুলিশ বাঘা উপজেলা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতকার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো সমর কুমার সরকার (২১) ও রান্টু ইসলাম (৫২)। সমর রাজশাহী জেলার বাঘা থানার গাওপাড়ার শ্রী লিপটন কুমারের ছেলে ও রান্টু ইসলাম একই থানার বাঘা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের মৃত মাজেদের ছেলে।

জানা যায়, ভিকটিম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকার ১৩ বছর বয়সি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সে গত ১ আগস্ট বিকেলে কোচিং থেকে বাড়ি ফিরে না আসায় তার বাবা মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আশপাশ এলাকাসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই দিন রাতেই বোয়ালিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। পরবর্তীতে গত ২ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯ টায় ওই স্কুল ছাত্র বাড়ি ফিরে আসলে তার বাবা-মা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করেন।

ভিকটিম তার বাবা-মাকে জানায় , শিরোইল কাঁচাবাজারের ফটোকপি দোকানের কর্মচারী আসামি সমরের সাথে ফটোকপি করার সুবাদে তার পরিচয় হয়। গত ১ আগস্ট বিকেল ৫ টায় কোচিং সেন্টার হতে বাড়ি ফেরার সময় শিরোইল কাঁচা বাজার এলাকায় সমরের সাথে তার দেখা হয়। সেখানে সমর তাকে চেতনা নাশক পদার্থ পান করিয়ে অপহরণ করে অপর রান্টু ইসলামের বাড়ি বাঘাতে নিয়ে আটকিয়ে রাখে।

সেখানে রাতে সেই ছাত্রকে ঔষধ খাইয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পরের দিন ২ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯ টায় ছেলেটিকে মতিহার থানার তালাইমারী মোড়ে রেখে যায়। তাদের ভয়ে ছেলেটি তার বাবা-মার কাছে বিষয়টি গোপন রাখে। পরবর্তীতে আসামি সমর পুনরায় সেই ছাত্রকে বলাৎকারের উদ্দেশ্যে বাঘা নিয়ে যাওয়ার জন্য মোবাইল করলে বিষয়টি ভিকটিম তার বাবা-মাকে অবহিত করে। প্রাথমিক ভাবে ভিকটিমের বাবা-মাও লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে তার গত ১১ আগস্ট লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করলে বোয়ালিয়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলা রুজু করে।

মামলা দায়েরের পর নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাইফউদ্দীন শাহীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন নিখোঁজ স্কুল ছাত্রকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।

পুলিশের ওই দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১২ আগত রাত ১ টার দিকে মতিহার থানার তালাইমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সমরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সমরের দেওয়া তথ্যমতে ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপর আসামী রান্টু ইসলামকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আসামি সমর নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।