ঢাকা সকাল ১০:২৮। বুধবার ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।
  1. অপরাধ
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. আরো
  6. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  7. কবিতা
  8. কলাম
  9. কোভিড-১৯
  10. খুলনা
  11. খেলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. চাকুরী
  14. চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  15. জয়পুরহাট
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জয়পুরহাটে প্রাচীন স্থাপত্য শৈলী বারো শিবালয় মন্দির

Asha Mony
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এম,এ,জলিল রানা,জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বার শিবালয় বা দ্বাদশ শিবমন্দির। জেলা সদর থেকে তিন মাইল উত্তর পশ্চিমে ছোট যমুনার তীরে বেল-আমলা গ্রামে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা নিভৃত স্থানে বারশিবালয় মন্দির অবস্থিত । ১২ টি শিব মন্দিরের প্রতিটির অভ্যন্তরে আছে গণেশের চিত্র, নম শিবায় ও শ্রী গণেশায় দেবায় নম, বিভিন্ন দেব-দেবীর কাহিনী চিত্র এবং রামলক্ষণ-সীতা, হনুমান ও মা কালীর প্রতিমা। আরও আছে অন্যান্য দেব-দেবীর কাহিনী চিত্র, রামলক্ষণ-সীতা ও হনুমান একটি গো-মূর্তির মস্তক পূজায় সিঁদূরে রাঙানো। আর মন্দির আঙ্গিনার মাঝখানে স্থান পেয়েছে একটি নন্দী মূর্তি। তবে বার শিবালয় মন্দিরের ১২টি শৃঙ্গ বা আলয় দেখে আগত ভক্তরা সবচেয়ে বেশি পুলকিত হয়।

বারো শিবালয়ের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ধারণা করা হয় যে, রাজা বল্লাল সেন শিবের উপাসক ছিলেন বলে তিনি এই মন্দির স্থাপন করেন। আবার কারো কারো মতে, ইতিহাস পরিচিত জগৎ শেঠের মতো বিত্তবান ছিলেন রাজীব লোচন মন্ডল নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি তিনি ছিলেন ধার্মিক কায়স্থ । যিনি ১৭০০ সালে বারো শিবালয় মন্দিরটি নির্মাণ করেন। বেল-আমলা হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য মতে এবং সেখান থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন প্রকার চন্ডী মূর্তি, সূর্য মূর্তি, বাসুদেব মূর্তি দেখে ধারণা করা হয় এককালে এখানে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান ছিল। রাজীব লোচন মন্ডল বংশের অধস্তন জ্ঞানেন্দ্রনাথ চৌধুরী একসময় এখানকার বিশাল জমিদারির মালিক ছিলেন।পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক জমিদারি নিলামে উঠার পর থেকে বেল-আমলা গ্রামে জমিদারির পতন হয়। পর্যায়ক্রমে গতিনাথ দত্ত চৌধুরী ও তার পুত্র গিরিলাল দত্ত চৌধুরীর সময় জমিদারি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

প্রতিবছর ফাগুনমাসের চতুর্দশীতে শিবরাত্রি এ বারো শিবালয় কে ঘিরে পূজা অর্চনা আয়োজিত হয়। শিবরাত্রি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল মেলা। মেলায় মানত, শিবদর্শন, গীতা পাঠ, উলুধ্বণি আর ঐতিহ্যবাহী ঢাক ঢোলের বাজনা সারা এলাকাজুড়ে মুখরিত হয়। এছাড়া মেলায় দেশের সুখ-সমৃদ্ধি ও মানব কল্যাণে শিবঠাকুর কে সন্তুষ্ট করতে আলো আধারির মাঝে কীর্তন গানের অনুষ্ঠান করা হয়। মেলায় শাখা-সিদূর, পৈতা, তিলক, পুতির মালা, কাঠের জালি, পুতুল, খেলনা, ঘর সাজানোর জিনিসপত্রসহ, বিভিন্ন প্রকার আসবাব-পত্র বেচা কেনা জমে উঠে এ মেলা,একে বারে যেন কানায় কানায় পূর্ণ।
প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের শিব চতুর্দশীতে বার শিবালয় মন্দিরে দুই দিন ব্যাপী শিবরাত্রি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজার পাশা-পাশি এখানে বাহারি পণ্যের মেলা বসে। তখন সারাদেশ থেকে সনাতন ধর্মালম্বীরা যমুনা নদীতে পূন্যস্নান করতে আসেন। শিবরাত্রি পূজা উৎসবকে ঘিরে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ছাড়াও প্রায় সারা বছরই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভ্রমণকারীরা বার শিবালয় মন্দির দেখতে আসেন।
ভ্রমণ বিলাসী একাধিক দর্শনার্থী জানিয়েছেন,যুগের সাথে তালমিলিয়ে আধুনিকতার আদলে সৌন্দর্য বৃৃদ্ধি করা হলে ঐতিহাসিক এ স্থানটি আরোও বেশি পর্যটক মুখর হয়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বার শিবালয় মন্দিরের ইতিহাস,ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার বিষয় নিয়ে জানতে জয়পুরহাট সদর উপজেলা কর্মকর্তা আরাফাত হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কি বলবো?
যেভাবে যাবেন: জয়পুরহাট জেলা সদর থেকে গতন শহর স্টপেজে এসে ভ্যান বা রিক্সা ভাড়া করে সরাসরি বার শিবালয় মন্দির দেখতে যেতে পারবেন।
যেখানে থাকবেন:জয়পুরহাট শহরের থানা রোডে হোটেল সৌরভ ইন্টাঃ, হোটেল জাহান আরা ইন্টাঃ, জসিম রেসিডেন্সিয়াল হোটেল, পৃথিবী হোটেল, হোটেল বৈশাখী রেসিডেন্সিয়াল ইত্যাদি ছাড়াও বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।
যেখানে খাবেন: জয়পুরহাটে বিভিন্ন মানের চাইনিজ এবং বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এদের মধ্যে ক্যাফে অরেঞ্জ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, বিসমিল্লা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, রুচিটা রেস্টুরেন্ট এন্ড চাইনিজ, মিনা, প্রিন্স রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০