নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ সোমবার। রাত ৪:২৪। ৩ নভেম্বর, ২০২৫।

কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম, শঙ্কায় কৃষক

জানুয়ারি ১, ২০২৫ ৩:১৮
Link Copied!

মান্দা( নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবধরণের সবজির দাম। একই সঙ্গে পেঁয়াজের দামও কমে ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে এসেছে। এতে ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এলেও লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা।

গতকাল মঙ্গলবার সবজির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার দেলুয়াবাড়ি হাটে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। পাইকারি এ হাট থেকে প্রতিদিন এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ১০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে।

সরেজমিনে এ হাটে গিয়ে একশ ফুলকপি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। রকম ভেদে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা মণ দরে। প্রকার ভেদে প্রতিকেজি আলু ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিস ১০ থেকে ১২ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করল্যা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সিলেটের রেলপথে অবস্থান নিয়েছেন অবরোধকারীরা, ট্রেন যাত্রায় বিলম্ব

এছাড়া পাতা পেঁয়াজ (গাছ পেঁয়াজ) বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে উপজেলায় ৪৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু, ৫৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, ১১০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ১৩০ হেক্টর জমিতে বেগুনসহ আরও এক হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে।

উপজেলার সিংগা গ্রামের কৃষক গনেশ চন্দ্র প্রামাণিক ১৫০ পিস ফুলকপি নিয়ে হাটে এসেছিলেন। তুলনামুলক ক্রেতা কম থাকায় কপিগুলো তিনি ২ টাকা পিস হিসেবে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন। কপিগুলো হাটে নিতে তাকে ভ্যানভাড়া দিতে হয়েছে ২০০ টাকা। একই সঙ্গে চালককে সকালের নাস্তার চুক্তিতে ভ্যানভাড়া নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  শ্যালিকাকে গণধর্ষণের পর হত্যা, দুলাভাইসহ ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

কৃষক গনেশ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, একপিস ফুলকপির চারা কিনতে হয়েছে ২ টাকা করে। এছাড়া হালচাষ, সার-কীটনাশক, পানিসেচ ও পরিচর্যা মিলিয়ে প্রতিপিস কপিতে খরচ হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪ থেকে ৫টাকা। একই সঙ্গে রয়েছে পরিবহণ খরচ। দাম না বাড়লে এ আবাদে তাকে লোকসান গুনতে হবে।

একইভাবে লোকসানের শঙ্কা প্রকাশ করেন রামনগর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন। তিনি বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করেই ফুলকপির দাম পড়ে গেছে। ফুল পুরু হলে জমিতে রাখার কোনো সুযোগ নেই। সময়মতো তুলে বিক্রি না করলে খেতেই নষ্ট হবে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে হাটে নিয়ে আসতে হয়েছে। এ দাম চলতে থাকলে একবিঘা জমিতে অন্তত ২০ হাজার টাকা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  যশোরের শার্শা বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা

চককানু গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আলম হোসেন বলেন, আজ হাটে পাতা পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাট পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। এবারে পেঁয়াজের বীজ চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় উৎপাদন খরচ গতবারের চেয়ে তিনগুন বেড়ে গেছে। দাম না বাড়লে এ আবাদে কৃষকের লোকসান হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, অনুকুল আবহাওয়ার কারণে এ মৌসুমে সবজির আবাদ ভাল হয়েছে। চাহিদার তুলনায় হাটগুলোতে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা পড়ে গেছে। চাহিদা বাড়লে এ অবস্থার উন্নতি হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।