নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শুক্রবার। রাত ৮:৫২। ৪ জুলাই, ২০২৫।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবস আজ

মে ১৬, ২০২৩ ১২:০৫
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার: মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে কীর্তিনাশা পদ্মার আয়তন নেমেছে অর্ধেকে। পানির গভীরতা কমেছে কমেছে প্রবাহ। আবাস হারিয়ে বিলুপ্তির পথে অর্ধেক দেশীয় প্রজাতির মাছ। হুমকিতে পদ্মার জীববৈচিত্র্য। আর এই সংকট ডেকে এনেছে উজানের মরণ বাঁধ ফারাক্কা।

সম্প্রতি দেশী-বিদেশী একদল গবেষকের গবেষনায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন’ ২০২৩ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় ওই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে।

তাতে দেখানো হয়েছে, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মার আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। মিঠা পানির সরবরাহ ৯০ শতাংশ কমেছে।

এছাড়া পদ্মা অববাহিকায় বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৯ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। ১৯৮১ সালে যেখানে তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালে তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মূলত: পদ্মার প্রকৃত অবস্থা বুঝতেই গবেষণার জন্য শুকনো মৌসুমকে বেছে নেন গবেষকরা।

গবেষক দলটিতে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামস মুহা. গালিব। তিনি বলেন, তারা ১৯৮২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পদ্মার হাইড্রোলজিক্যাল, জলবায়ু এবং নৃতাত্ত্বিক কারণগুলির প্রতি মৎস প্রজাতির প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করছিলেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে চারঘাটের সারদা পর্যন্ত পদ্মার ৭০ কিলোমিটার অংশ নিয়ে গবেষণা করেন তারা। ওই এলাকায় পদ্মার ৯টি পয়েন্টে মৎস প্রজাতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পদ্মা পাড়ের ২৭টি জেলে পল্লীতে গিয়েও তথ্য নেন। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিও বিশ্লেষণ করেন। তাতেই পদ্মার এই রুগ্ন দশা উঠে আসে।

জানা যায়, হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি গঙ্গার। এই নদী ভারতের পশ্চিবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের মধ্য দিয়ে। এরপর পদ্মা নামে পাড়ি দিয়েছে ৩৬৬ কলোমিটার পথ। দুই পাড়ের লাখো মানুষের জীবনজীবিকার উৎস এককালের এই খরস্রোতা। কিন্তু পদ্মার এই রূগ্ন দশায় জীবিকায় টান পড়েছে অধিবাসীদের।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দুর্ভোগের শুরু ১৯৭৫ সালে। ওই বছর পদ্মার ১৮ কিলোমিটার উজানে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে ভারত। এই বাঁধ দিয়েই ভগিরথি ও হুগলি নদীতে পানি প্রত্যাহার শুরু করে প্রতিবেশী দেশটি। ফলে দিনে দিনে নির্জলা হয়ে পড়ে পদ্মা।

গবেষকরা জানান, ফারাক্কা বাঁধ চালুর আগে ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পদ্মায় প্রতি সেকেণ্ডে পানি প্রবাহিত হতো ৯ হাজার ৩২ কিউবিক মিটার। বাঁধ চালুর পর থেকে অর্থাৎ ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রবাহ নেমেছে ৫ হাজার ১৪৬ কিউবিক মিটারে।

ফারাক্কাবাধ চালু হবার পরে শুকনো মৌসুমে পদ্মার প্রবাহ কমে দাড়িয়েছে সেকেন্ড ২ হাজার ৩৩ কিউবিক মিটারে। বাঁধ চালুর আগে শুকনো মৌসুমে পদ্মায় প্রবাহ ছিল ৩ হাজার ৬৮৫ কিউবিক মিটার। কেবল শুকনো মৌসুমেই নয়, বর্ষাকালেও প্রবাহ কমেছে পদ্মায়। ফারাক্কা চালুর আগে বর্ষায় গড় পানির প্রবাহ ছিল সেকেন্ডে ১২ হাজার ১১৫ কিউবিক মিটার। বর্তমানে এই প্রবাহ নেমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮২৭ কিউবিক মিটারে।

আরও পড়ুনঃ  জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য জরুরি : তারেক রহমান

পদ্মায় প্রবাহ কমে আসায় কমেছে পানির গভীরতাও। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে পদ্মার গড় গভীরতা ছিল ১২ দশমিক ৮ মিটার। ওই সময় প্রবাহ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৬ হাজার ৮ কিউবিক মিটার। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গড় গভীরতা নেমে আসে ১১ দশমিক ১ মিটারে। তখন প্রবাহ নেমে আসে ৪ হাজার ৫৮১ কিউবিক মিটারে।

গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, ১৯৮০ সালে পদ্মা অববাহিকায় দৈনিক গড় বৃষ্টিপাত ছিল ৫ দশমিক ২ মিলিমিটার। ২০১৯ সালে এসে দৈনিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ দশমিক ২ মিলিমিটারে। অন্যদিকে, ১৯৮১ সালে ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২০১৯ সালে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সমীক্ষা চলাকালে দেশীয় ৭৭ প্রজাতির ১ লাখ ১ হাজার ৭৮১টি মাছ নমুনায়নের মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করে গবেষক দল। এরমধ্যে ২০০৭ সালে ৪৩ হাজার ৬৮১, ২০১২ সালে ৩৫ হাজার ১৬২ এবং ২০১৭ সালে ২২ হাজার ৯৩৮ টি মাছ ছিল।

দেখা যায়- ওই ৭৭ প্রজাতির মাছের মধ্যে দেশে ৩টি প্রজাতি অবস্থা সংকটজনক বিপন্ন। বিপন্ন অবস্থায় ১০ প্রজাতি। ৯টি প্রজাতি অতিবিপন্ন অবস্থায়। আরও ৯ প্রজাতি বিপন্নপ্রায়। এগুলোর মধ্যে বৈশ্বিকভাবে অতিবিপন্ন তালিকায় রয়েছে ২টি প্রজাতি। এছাড়া ৮ প্রজাতি রয়েছে বিপন্নপ্রায় তালিকায়।

গবেষণা বলছে, ১৯৮২ সালে পদ্মায় মিলেছে বড় বাইম বা বামুস এবং এক ঠুইটা। কিন্তু ২০০৭, ২০১২ এবং ২০১৭ সালে এদের অস্তিত্ব আর পাওয়া যায়নি। ১৯৯৮ সালের পর থেকে আর পাওয়া যায়নি নানদিনা ও তিলা শোল। গবেষকদের ধারণা- এই দুই প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে দেশের জলসীমা থেকেই।

২০০৭, ২০১২ এমনকি ২০১৭ সালেও পাওয়া যায়নি চাপিলা, খোরি, রূপালী কাচনি, ঘোড়া চেলা, ঘোড়া মুখো রুই, ইলংগা, পাতি ডারকিনা, জাঁত পুঁটি, কোসা পুঁটি, মলা পুঁটি, ঘনিয়া, ভাঙ্গন, বেতাঙ্গী, কাজুলি, কাঁটা চান্দা, গাং টেংরা, নুনা টেংরা, গাঙ্গেয় জাংলাসহ দেশীয় ২৮ প্রজাতির মাছ। যদিও ১৯৮২ সালে এসব মাছের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়। এখন বড় বাইম, নানদিনা এবং ঘোড়া মুখো রুই বৈশ্বিকভাবেই বিপদাপন্ন। গবেষকরা বলছেন-পদ্মা থেকে হারিয়ে যাওয়া মৎস প্রজাতির ৬০ শতাংশেই এখন বিলুপ্তির হুমকিতে।

আরও পড়ুনঃ  আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এদিকে, ২০০৭ সালে পদ্মায় দশমিক ৪ শতাংশ বিদেশী প্রজাতির মাছ মিলত। ২০১৭ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে। এই এক দশকে পদ্মায় বিদেশী মাছের প্রাচুর্য বেড়েছে ১১ দশমিক ৩ গুন।

মাছের দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ হিসেবে গবেষণায় দেখানো হয়, অত্যাধিক শিকার এবং আবাস হারানো। ১৯৮০ সালে পদ্মায় যেখানে ৭১ জন জেলে মাছ শিকার করতেন, ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৬ জনে। প্রায় চার দশকে মাছ শিকারী বেড়েছে প্রায় ৩৮ গুন।

এদিকে, পদ্মার পানি দুষনের একমত্র সম্ভাব্য উৎস হিসেবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে দেখানো হয়েছে গবেষণায়। এখানকার ১৮টি বড় নিষ্কাশন নালা গিয়ে পড়েছে পদ্মায়। এসব নালা দিয়ে কোনো ধরণের শোধন ছাড়াই নগরীর বর্জ্য মিশ্রিত পানি গিয়ে পড়ছে। এতেই দুষিত হচ্ছে নদী। পাবনার রূপপুরে পদ্মার তীরে গড়ে উঠছে দেশের একমাত্র পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। হচ্ছে বিশেষ শিল্পাঞ্চলও। এসব থেকেই দুষন ছড়ানোর শঙ্কা গবেষকদের।

পদ্মার জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় ফারাক্কার ভাটিতে পানি সংরক্ষণের পক্ষে মত দেন গবেষকরা। তারা বলেন, জলবায়ুর প্রভাব স্থানীয় মাত্রায় কাটিয়ে ওঠা কঠিন। তবে এই প্রভাবে টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া মাত্রাতিরিক্ত মাছ শিকার বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। জেলেদের নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্স ফি নির্ধারণের পক্ষে গবেষকরা। অধিকাংশ দেশীয় প্রজাতির মাছ বর্ষাকালে বংশবৃদ্ধি করে। এই সময়কালে মাছ শিকার সীমিত করাসহ পদ্মায় মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলারও তাগিদ দেন গবেষকরা। একই সাথে পদ্মায় বিদেশী প্রজাতির মাছ চাষেও নিরুৎসাহিত করেন।

মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন গবেষক দলের সদস্য তাসকিন পারভেজ। তিনি জানান, আগে পদ্মা নিয়ে এতো গভীর অনুসন্ধান হয়নি। তারা চেয়েছিলেন-কিভাবে পদ্মা নদীকে সুরক্ষিত করা যায়। গবেষণায় তারা সেটিও তুলে এনেছেন। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টরা এই গবেষণার ফলাফল কাজে লাগাতে পারেন।

পদ্মার রুগ্ন দশার বিষয়টি স্বীকার করেছেন নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পিন্টু কানুনগোয়। তিনি বলেন, শুকনো মৌসুমে ৬ মাস পদ্মা প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। এটি দৃশ্যমান। এর প্রধান কারণ ফারাক্কা বাঁধ। তবে আরেকটি বড় কারণ-পদ্মা-গঙ্গা অববাহিকায় প্রবাহ কমেছে আগের তুলনায়। উজানের উপনদীগুলোতে বাঁধ নির্মাণ করে পানি উত্তোলন হচ্ছে। এতে ফারাক্কায় পয়েন্টে পর্যাপ্ত পানি আর আসছেনা। ফলে চুক্তি অনুযায়ী পানি পাচ্ছেনা বাংলাদেশ।

দিনকে দিন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংকটের শেকড় অনেক গভীরে। পদ্মার এই রুগ্ন দশার কারণ কি-এটি সবাই বোঝেন। সংকট মোকাবেলায় অববাহিকা ভিত্তিক বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালকে সম্বন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা বরাবর এটিই বলে আসছি।এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ সরকারকে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধা করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

এদিকে ৪৭ বছর আগে আজকের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী অশীতিপর ভগ্ন শরীর নিয়েও এক ঐতিহাসিক লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণ করে ভারতের পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। তার সে ডাকে সেদিন লাখ লাখ মানুষ সাড়া দিয়েছিল। বিশ্বজুড়ে তিনি এই সত্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন যে, আন্তর্জাতিক যাবতীয় আইন-কনভেনশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই ব্যারাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে যাচ্ছে।

দিনটি ছিলো ১৯৭৬ সালে ১৬ মে। সেই ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবস আজ। রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে লাখো জনতার সেই লং মার্চ রওনা হয় ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে। লংমার্চ শেষে কানসাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন মজলুম জননেতা। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা দিবস নামে পরিচিতি লাভ করে। ভারতের হুগলী নদীতে পানি সরবরাহ এবং কলকাতা বন্দরটি সচল করার জন্যই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত। যার অবস্থান বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার উজানে ভারতের ভূখণ্ডে গঙ্গা নদীর ওপরে।

জানা যায়, ফারাক্কা সমস্যার সূত্রপাত ঘটে পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকে। গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগের খবর জেনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। পাকিস্তানি প্রতিবাদের উত্তরে ভারত ১৯৫২ সালে জানিয়েছিল যে, গঙ্গার বাঁধ নির্মাণ এখনও অনুসন্ধান পর্যায়েই রয়েছে। ১৯৬০ সালে ভারত প্রথম এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে বসে। এ প্রক্রিয়া চলা অবস্থাতেই ১৯৬১-৬২ সালে ভারত গোপনে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। এভাবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পূর্বেই ১৯৭০ সালে ফিডারখাল ব্যতীত ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করে ফেলে ভারত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর ভারত সরকার ফারাক্কা ব্যারাজ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সরকারের অনুমতি ছাড়া করতেও পারছিল না। এ ক্ষেত্রে তারা কৌশলের আশ্রয় নেয়। প্রথমে ফিডার ক্যানেলে পানিপ্রবাহের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক চালুর কথা বলে মাত্র ৪১ দিনের জন্য (২১ এপ্রিল ‘৭৫-৩১ মে ‘৭৫) ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। সেই পরীক্ষামূলক প্রত্যাহারই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।