নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। রাত ৮:২৩। ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী ১৯ মে

মে ১৬, ২০২৩ ৯:৫৮
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য ও গণপরিষদের প্রাক্তন সদস্য, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, সমাজ সেবক, মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদাভাই) ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী ১৯ মে শুক্রবার।

মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদাভাই) ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনসহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক সময়ের পদ্মা পাড়ের পিছিয়ে পড়া জনপদ শিবচরের নারী শিক্ষার অগ্রদূত তিনি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শিবচরের গুয়াতলা গ্রামে দাদাভাইয়ের একক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালের ১ জানুয়ারি শিবচরে প্রতিষ্ঠা করেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে।

আরও পড়ুনঃ  তিস্তা ও দুধকুমার নদী বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা

এছাড়া পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়নের মসজিদে দোয়া ও মিলাদ হবে। ১৯ মে শিবচরের দত্তপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তার বড় ছেলে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও কনিষ্ঠ ছেলে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) এবং তার পরিবার মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই জনপ্রিয় দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং খুলনা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দাদাভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  চলতি মাসেই নির্বাচনে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীকে ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি তৎকালীন জাতীয় সংসদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রস্তাবকারী।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মা চৌধুরী ফাতেমা বেগম। চৌধুরী ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন।

আরও পড়ুনঃ  বিএফআইডিসি আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করতে সক্ষম : রিজওয়ানা হাসান

দাদাভাইয়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় দত্তপাড়ার টিএন একাডেমি থেকে, মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোতে কাজ করেন নিরলসভাবে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন, একইসঙ্গে মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের ১৯ মে ৫ম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই মহান নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।