ঢাকা সকাল ১০:১১। বুধবার ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।
  1. অপরাধ
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. আরো
  6. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  7. কবিতা
  8. কলাম
  9. কোভিড-১৯
  10. খুলনা
  11. খেলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. চাকুরী
  14. চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  15. জয়পুরহাট
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চালের চেয়েও ছোট আকারের পেসমেকার উদ্ভাবন, লাগবে না অপারেশন

subadmin
এপ্রিল ৪, ২০২৫ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : চালের চেয়েও ছোট আকারের পেসমেকার তৈরি করেছেন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ ওয়েস্টার্নের বিজ্ঞানীরা। এটি অস্ত্রোপচার ছাড়াই প্রতিস্থাপন সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োইলেকট্রনিকস বিশেষজ্ঞ এবং পেসমেকারটির এক উদ্ভাবক জন এ রজার্স এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পেসমেকারটির প্রস্থ মাত্র ১ দশমিক ৮ মিলিমিটার, দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার এবং মাত্র ১ মিলিমিটার পুরু।

তিনি বলেন, আমরা যা তৈরি করেছি, তা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পেসমেকার। এটি বিশেষ করে নবজাতকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রজার্স বলেন, এটি সব ধরনের হৃৎপিণ্ডেই কাজ করতে পারে। কিন্তু এটি তৈরির সময় আমরা মূলত জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত নবজাতকের কথা মাথায় রেখেছিলাম। শিশুদের হৃৎপিণ্ড অত্যন্ত ছোট ও নমনীয় হওয়ায় সেখানে ছোট আকারের পেসমেকার খুবই জরুরি।

বর্তমানে অস্থায়ী পেসমেকার বসাতে হৃৎপিণ্ডে সার্জারির মাধ্যমে সেলাই করে ইলেকট্রোড যুক্ত করতে হয়, যা বাইরের একটি ডিভাইসের সঙ্গে তার দিয়ে যুক্ত থাকে। পরে এই তার টেনে বের করতে হয়, যা একটি জটিল প্রক্রিয়া।

তারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে জড়িয়ে যেতে পারে। তাই, যখন এগুলো টেনে বের করা হয়, তখন তা হৃৎপেশীর ক্ষতি করতে পারে। চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষ নীল আর্মস্ট্রংয়ের মৃত্যুও হয়েছিল এভাবে। বাইপাস সার্জারির পর তার বুকে একটি অস্থায়ী পেসমেকার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তারগুলো সরানো হলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।

কিন্তু নতুন এই পেসমেকার ওয়্যারলেস (তারহীন) এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর দেহের সঙ্গে মিশে যায়। এটি কোনো ব্যাটারি বা চার্জার ছাড়াই চলে। বরং শরীরের তরল পদার্থের সংস্পর্শে এসে গ্যালভানিক সেল নামে রাসায়নিক ব্যাটারি তৈরি করে, যা থেকে উৎপন্ন হয় বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুৎ হৃৎপিণ্ডে প্রয়োজনীয় উদ্দীপনা দেয়।

এই যন্ত্র অস্ত্রোপচার ছাড়াই হৃৎপিণ্ডে স্থাপন করা যায়। বুকের ত্বকের ওপর পরিধানযোগ্য একধরনের নরম টেপের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যখন রোগীর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়, তখন এই টেপ তা শনাক্ত করে এবং ইনফ্রারেড রশ্মি দিয়ে সংকেত পাঠায়। এই সংকেত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে পেসমেকারকে সক্রিয় করে।

নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজিস্ট ইগর এফিমভ বলেন, প্রতি ১ হাজার শিশুর মধ্যে ১০টিই জন্মগত হৃদ্‌রোগ নিয়ে জন্মায়, কিন্তু এদের বেশির ভাগেরই শুধু সার্জারির পর কয়েক দিনের জন্য সাময়িক পেসিং দরকার হয়। এই পেসমেকার শিশুদের সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকু সুরক্ষিত রাখতে পারে, আবার অপারেশন করে খুলে ফেলারও প্রয়োজন হয় না।

এই যুগান্তকারী উদ্ভাবন ভবিষ্যতে শিশুদের হৃদযন্ত্রের জটিলতায় চিকিৎসার ধরন পুরোপুরি বদলে দিতে পারে বলে আশাবাদী গবেষকেরা।

এই নতুন উদ্ভাবন নিয়ে একটি গবেষণাপত্র বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’– এ প্রকাশিত হয়েছে।-ইত্তেফাক

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০