নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা রবিবার। রাত ৩:৫৩। ১১ মে, ২০২৫।

নিয়ামতপুরে দাফনের সময় নড়ে উঠলো ‘মৃত’ নবজাতক!

মে ১০, ২০২৫ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে পরিবারের হাতে তুলে দেন। বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যরা দাফনের প্রস্তুতির সময় হঠাৎ নড়ে উঠে ‘মৃত’ নবজাতক। এমন ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর নিয়ামতপুরে। পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ চিকিৎসায় অবহেলা করেছেন। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে একটি দুর্ঘটনা বলছেন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোপাল চক এলাকার গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগমের (২৫) রক্তক্ষরণ হলে পরিবারের লোকজন নিয়ামতপুর সদরে অবস্থিত নিয়ামতপুর ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করান। ক্লিনিকের মালিক অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটের বাচ্চা মারা গিয়েছে বলে তাদের জানান এবং দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। তা না করলে প্রসূতিকে বাঁচানো যাবে না বলে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। তাদের তাড়াহুড়োয় অপারেশন করার জন্য বলেন প্রসূতির বাবা-মা। এ ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেলের সার্জন রুহুল আমিন অপারেশন শেষে নারী ও শিশুকে রেখে চলে যাওয়ায় নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাস না নেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।ক্লিনিক মালিক শরিফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে প্যাকিং করে রাত ৮ টার দিকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। ভুলক্রমে প্যাকিং বাক্সে অপারেশনের কাঁচিও রেখে দেন।

পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যরা দাফনের প্রস্তুতির সময় হঠাৎ সেই নবজাতক নড়ে ওঠে। জীবিত আছে বুঝতে পেরে দ্রুতই উপজেলা সদরে আসেন। থানায় বিষয়টি অবহিত করলে তাঁরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।

প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কায়সার রহমান নবজাতকটি জীবিত রয়েছে বলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নাজমা বলেন, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের তাড়ার কারণে দ্রুত অপারেশন করা হয়েছে। বাচ্চাটি মারা গেছে বলে আমাদের কাছে তুলে দেয়। দাফন করার উদ্দেশ্য নিয়ে গেলে শিশুটি নড়ে ওঠে। আমরা খুব অসহায় মানুষ। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

ক্লিনিকের মালিক শরিফুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী পারমিতার দাবি, অন্তঃসত্ত্বা নারীর পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই অপারেশন করা হয়েছে। নবজাতক মৃত্যুর ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলছেন তাঁরা।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, নবজাতককে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।