অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কাশ্মির সমস্যা । জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) প্রস্তাব এবং কাশ্মিরের জনগণের মতে- এই সমস্যার সমাধান না হলে এই অঞ্চল স্থায়ী শান্তি দেখতে পাবে না।
রোববার (১১ মে) দিবাগত রাতে এক প্রেস কনফারেন্সে পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, “এই সংঘাত আবারও কাশ্মিরকে একটি উত্তেজনাপূর্ণ সীমানা হিসেবে তুলে ধরেছে এবং এর সমাধান প্রয়োজন। আমরা যে সমস্যাটি দেখছি তা হলো ভারত এই বাহ্যিক সমস্যাটিকে অভ্যন্তরীণ করে চলছে। এটি পাকিস্তান, ভারত এবং কাশ্মিরের জনগণের একটি বাহ্যিক সমস্যা।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিরোধ। ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং ভারতের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে জনসংখ্যা এবং আইনি অবস্থা পরিবর্তন করে এটিকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা করার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, “আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পাহেলগামের পরে কী ঘটছে। মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হচ্ছে।”
ভারতের উদ্দেশে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করুন, যা জনগণের জন্য কল্যাণকর।”
পাহেলগাম ট্র্যাজেডির পর গত ৭ মে ভোরে পাকিস্তান জুড়ে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে ধারাবাহিক হামলা শুরু করে ভারত।
পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছে, ছয়টি এলাকায় ২৪টি আঘাতের খবর পাওয়া গেছে। হামলায় ৩৩ জন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দ্রুত এর প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা ৫টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় ব্রিগেড সদর দপ্তর চেকপোস্ট ধ্বংস করে। ১০ মের প্রথম দিকে ভারত তিনটি বিমানঘাঁটিতে আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস‘ শুরু করে। একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় মার্কিন মধ্যস্থতার পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সূত্র : দ্য ডন