চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার কথা বলে ৭০ জন দরিদ্র নারীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আকট ওই নারী শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের নলডুবরী হঠাৎপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসা. কটকতারা (৩৭)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু কটকতারা নন, এর সঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আশরাফুল হক জড়িত রয়েছেন। তাঁর মাধ্যমে কটকতারা এগুলো করেন।
প্রতারণার শিকার একাধিক নারী জানান, উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেবে বলে বিভিন্ন সময়ে ওই টাকা নেওয়া হয়েছে। একেকজনের কাছ থেকে ৪ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁর প্রতারণা বুঝতে পেরে তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আশরাফুল ইসলম বলেন, ‘আমি কটকতারা নামে কাউকে চিনি না। আর আমি কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ নিইনি। যে বা যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, সেটা মিথ্যা।’
শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলী বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই নারীকে উদ্ধার করি। সে যদি এসব অভিযোগের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোসা. সাহিদা আখতার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন তো সবকিছু অনলাইনে হচ্ছে। আর একটি কমিটির মাধ্যমে এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদিত হয়। এখানে কারও জড়িত থাকার কথা নয়।’