স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বিএনপির অফিস ও তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষে অন্তত ৮ থেকে ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে পুঠিয়া উপজেলা চত্বরে স্থানীয় পুকুর এবং দিঘি টেন্ডার নেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাতে পুঠিয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আহতরা বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির নেতা সাবেক মেয়র আল মামুম খান, অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি নেতা ফারুক রায়হান। ফারুক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্ডলের অনুসারী। দুই পক্ষের লোকজন পুকুর ও দিঘি টেন্ডারে ডাক দেন। টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বিকেলের পর থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর দুপক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। সবশেষ পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পুঠিয়া থানার ওসি কবীর হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র আল মামুন খান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। মামুনের লোকেরা ফারুকের অফিস পুড়িয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।