নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। বিকাল ৪:২২। ২ জুন, ২০২৫।

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

মে ২৭, ২০২৫ ১০:৩২
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্নাঙ্গ আপিল বিভাগ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করে আজ রায় দেন।

আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। প্রসিকিউসন পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

আরও পড়ুনঃ  গর্ভবতী মা ও নবজাতকের জন্য পরীমণির বিশেষ উদ্যোগ

এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উপস্থিত ছিলেন-জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটি এম মাসুম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট মতিউর রহমান, মাসুদ সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরে আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড.হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  হারের ম্যাচেও প্রাপ্তি তানজিম সাকিবের বিশ্বরেকর্ড

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আজহারুল ইসলামের রিভিউ মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেন (লিভ গ্রান্ট করে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী আপিল শুনানির পর গত ৮ মে রায়ের দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

মুক্তিযুদ্ধকালীল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

আরও পড়ুনঃ  এক মাসের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ ছিলো।

রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই রাস্ট্র যন্ত্র ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ওই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয় বলে দাবী ছিল অনেকের। সে সময় বিচারপতির স্কাইপি কেলেংকারী, আসামিপক্ষের সাক্ষী গুম এসব ঘটনা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উঠা প্রশ্নকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।