ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় মাহিন্দ্রতে থাকা বাবা-ছেলে সহ ৫ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫ জন। বুধবার সকাল সোয়া ৭ টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের বাবলাতলা নামক এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধারকার্য চালায়।
নিহতরা হলেন, ইব্রাহীম সর্দার (৬০) ও তার ছেলে মনির সর্দার (৪০)। তারা মিয়া শেখ (৫৫), নিহতরা মাদারীপুর শিবচরের মাদবরচর গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা গ্রামের মিজানুর রহমান (৪৫) ও গোপালগঞ্জ সদরের দিঘারপুল গ্রামের আহাদুল মুন্সী (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, সকালে তিনি সড়কের পাশেই কাউন্টারে কাজ করছিলেন। এসময় পৌনে ৭ টার দিকে তিনি হটাৎ বিকট শব্দে আতঙ্কে উঠেন। তিনি দেখেন ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাট মুখি একটি মাহিন্দ্র একটি অটোরিকশাকে উভারটেক করার চেষ্টা করছিলো। ঠিক তখনই অপর দিক থেকে আসা অজ্ঞাত দ্রুতগামীর একটি বাস মাহিন্দ্রকে চাপা দিয়ে আমাদের দিকে ধেয়ে আসছিলো। এক পর্যায়ে আমরা ক’জন দৌড়ে সরে গিয়ে আত্বরক্ষা করি। এর কয়েক সেকেন্ডে পরেই দেখি মাহিন্দ্রতে থাকা কয়েকজন যাত্রির অবস্থা ভয়ংকর। এসময় ৪ জন যাত্রী স্পটেই মারা যায়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যায়।
নিহতদের স্বজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে ঈদের গরু কিনতে শিবচর থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশ্যে মাহিন্দ্রযোগে রওয়ানা দেয় তারা। এসময় তারা ভাঙ্গা বাবলাতলা নামক এলাকায় পৌছালে অজ্ঞাত বাসের চাপায় সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে মাহিন্দ্রটি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবা-ছেলে একই পরিবারের ৪ জন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও ফাঁয়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত ও গুরুতর আহতদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এসময় হাসপাতালে আনার পর আরও একজন মারা যায়। আহত প্রায় ৪ জনকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাইওয়ে থানার ওসি মো: রোকিবুজ্জামান জানান, মরদেহগুলি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় আনা হচ্ছে। এ দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ জন। চারজনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত আরেকজন আহাদুল মুন্সীর মরদেহ বর্তমানে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রকৃয়াধীন রয়েছে।