নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। রাত ১২:৪৭। ২৩ জুন, ২০২৫।

বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টাইন ক্লাবের চমক, যা বলছেন গার্দিওলা-কেইন

জুন ২২, ২০২৫ ৩:০৮
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : পরপর দু’দিন ইউরোপীয় দুই ক্লাবকে হারিয়ে রীতিমতো ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছে ব্রাজিলের দুটি দল। এমন নয় যে ব্রাজিল কিংবা লাতিন আমেরিকান দেশগুলো আগে শিরোপা জেতেনি। তবে বর্তমান সময়ে ইউরোপীয় খেলার চাকচিক্য, গতি ও মিডিয়া কাভারেজ মহাদেশীয় ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ফলে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও তাদেরই দাপট থাকবে মনে করা হচ্ছিল। সেই ধারণায় ধাক্কা দিতে সফল হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো।

সদ্য সমাপ্ত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিহাস গড়ে শিরোপা জিতেছে প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এমনকি ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ এবং ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তারা ৪-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে। অথচ তাদের বড় ধাক্কা খেতে হলো লাতিন ফুটবলের (কোপা লিবার্তাদোরেস) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বোটাফোগোর বিপক্ষে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি পিএসজিকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। পরদিন আরেক সেলেসাও ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে অন্যতম ইংলিশ জায়ান্ট চেলসিকে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহী আসছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলের চারটি এবং আর্জেন্টিনার দুটি ক্লাব অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ব্রাজিলের চারটি ক্লাবই এই মুহূর্তে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকেই অপরাজিত। ‘এ’ গ্রুপে পালমেইরাস (দুইয়ে ইন্টার মায়ামি, তিনে পোর্তো), ‘বি’ গ্রুপে বোটাফোগো (দুইয়ে পিএসজি, তিনে অ্যাতলেটিকো), ‘ডি’ গ্রুপে ফ্ল্যামেঙ্গো (দুইয়ে চেলসি) ও ‘এফ’ গ্রুপে ফ্লুমিনেন্স (দুইয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড) শীর্ষস্থানে আছে। এ ছাড়া দুই আর্জেন্টাইন ক্লাবের মধ্যে রিভারপ্লেট ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে (দুইয়ে ইন্টার মিলান) ও বোকা জুনিয়র্স ‘সি’ গ্রুপের (একে বায়ার্ন মিউনিখ ও দুইয়ে বেনফিকা) তিনে রয়েছে।

এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক লাতিন দেশকে বড় পরীক্ষা দিতে হয়নি। মনে করা হচ্ছে তাদের মূল লড়াইটা হবে নকআউট রাউন্ডে। তবে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশের খেলা নজর কেড়েছে ম্যানচেস্টার সিটির কিংবদন্তি কোচ পেপ গার্দিওলা ও বায়ার্ন মিউনিখের ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের। যথারীতি তারা লাতিন ক্লাবগুলোর খেলার গুণমুগ্ধ। ফলে প্রশংসা করার পাশাপাশি ইউরোপীয় দলের জন্য যে ব্রাজিল-আর্জেন্টাইন স্থানীয় ফুটবলাররা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছেন তারা সেটি অকপটে স্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখি না : শবনম ফারিয়া

ম্যানসিটির স্প্যানিশ টেকনিশিয়ান গার্দিওলা বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে যখন দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর বিপক্ষে খেলা হয়, আমি সেটি দেখতে পছন্দ করি। কীভাবে তারা চ্যালেঞ্জ জানায় এবং সেটি দারুণভাবে সম্পন্নও করে। বোকা জুনিয়র্সের খেলা দেখেছি, তারা কীভাবে প্রতিটি বলের জন্য ছুটে, আমি অবাক, তারা বিশ্বের শেষ প্রান্ত থেকে এসেছে। তাদের খেলার ধরন ভিন্ন। দুয়েকটি ছাড়া প্রতিটি ম্যাচই কঠিন হয়ে উঠছে। মানুষ বলছে “কী আশ্চর্য ব্যাপার, ইউরোপীয় দল হারছে”— আর আমি বলব সত্যিকারের ফুটবল দুনিয়ায় স্বাগতম।’

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ লাতিন দেশগুলো থেকে বিশ্বের সেরা ফুটবলাররা আসে উল্লেখ করে গার্দিওলা বলছেন, ‘বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে অনেক দারুণ ঘটনা আছে। যার অনেকগুলো দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ঘটেছে। ব্রাজিল থেকে– বিশেষ করে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে এসব দেশ অনেক দারুণ কিছু উপহার দিয়েছে ফুটবলকে। সেখান থেকে সেরা ফুটবলাররা আসে, তারা ইউরোপে আসে অর্থনৈতিক সুবিধা ও নাম কামানোর আশায়। তারা দুর্দান্ত। দক্ষিণ আমেরিকান দেশের সঙ্গে খেলা আপনার পছন্দ হবে, আমাদের এই প্রতিযোগিতাটি বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ  ইরানে মার্কিন হামলার পর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি দেখছে রাশিয়া

এদিকে, লাতিন ক্লাবগুলো ইউরোপীয় প্রতিযোগীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে জানিয়ে বায়ার্ন ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন বলেন, ‘ভিন্ন দলের মোকাবিলা করা অসাধারণ বিষয়, আমি দেখছি দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলো ইউরোপীয় দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ফলে এই প্রতিযোগিতা ফুটবলের গুরুত্ব বাড়িয়েছে এবং পুরো বিশ্ব এখানকার খেলা ও খেলোয়াড়দের মান দেখতে পারছে। আপনাকে পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি এই বিশ্বকাপ পছন্দ করছি এবং আশা করি আমরা যতটা সম্ভব টুর্নামেন্টে টিকে থাকব।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।