অনলাইন ডেস্ক : যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলে ফের হামলা চালানোর অভিযোগ তোলা হয় ইরানের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার করা হয়েছে।
এর আগে ইরান থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে। ইরান থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তারা শনাক্ত করেছে। ইরানি হুমকি প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে।
এই হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তেহরানে আবারও জোরালো হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষিত যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইরান ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ কারণে তেহরানে শাসকগোষ্ঠীর অবস্থানে আমরা সর্বোচ্চ মাত্রার পাল্টা হামলার নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির যেকোনো লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দেওয়া ইসরায়েল সরকারের নীতি। সেই নীতির অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত।’
তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের ডাক দিয়েছেন ইসরায়েলি আইনপ্রণেতারাও। নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্য ও কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল সমোটরিচ এক্স-এ লেখেন, ‘তেহরান কাঁপবে।’
বিরোধী দল ইয়িসরায়েল বেইতেনু চেয়ারম্যান আবিগডোর লিবারম্যান এক পোস্টে বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সাড়ে তিন ঘণ্টা পরই ইরান উত্তরের দিকে হামলা চালাল। আমরা চুপচাপ বসে থাকতে পারি না, অবিলম্বে প্রতিশোধ নিতে হবে।’
ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সংসদ সদস্য তালি গটলিভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইরানের যেকোনো লঙ্ঘনের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।’ আর আরেক লিকুদ এমপি আবিচাই বোয়ারন তেহরানের শাসকগোষ্ঠীর প্রতীকী স্থাপনার ওপর ‘পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে হামলার আহ্বান জানান।