নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। রাত ৩:৫৭। ১৯ জুলাই, ২০২৫।

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা খুব তাড়াতাড়ি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে

জুলাই ১৮, ২০২৫ ১০:২৮
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ইমামদের উদ্দেশে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, খুৎবার আগে সামাজিক সমস্যাগুলো ইসলামের আলোকে মুসল্লিদের মাঝে তুলে ধরতে হবে। মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা খুব তাড়াতাড়ি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এর ফলে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের সহজে চাকরি হারানোর ভয় থাকবে না। তারা নির্দিষ্ট হারে মাসিক বেতন পাবেন। গত বছর সরকার আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের প্রায় চার কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছে।

শুক্রবার (জুলাই ১৮) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, যৌতুক, নারী নির্যাতনসহ সামাজিক সমস্যা নিরসনে ইমাম-ওলামাদের করণীয়’ শীর্ষক বিভাগীয় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুনঃ  সাকিবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াই করার পুঁজি পেল দল

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৩৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, অবশিষ্টগুলোর নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ সকল মসজিদের মাধ্যমে সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সামাজিক সংহতি এবং একতাবোধ প্রতিষ্ঠা হবে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে এ সকল মসজিদ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। একটি ভাতৃত্বপূর্ণ আবহ তৈরি হবে এ সকল মসজিদের মাধ্যমে। যত বেশি মসজিদ তৈরি হবে, তত বেশি মুসল্লি তৈরি হবে বলে আশা করা যায়। নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করে। এর ফলে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা অনেক কমে যায়।

আরও পড়ুনঃ  চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদ্যাপিত

তিনি আরও বলেন, কারাগারের ভেতরে আসামিদের আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে কোরআন হাদিসের শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। এটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান, খুলনা পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমেদ আনোয়ারুল নজরুল ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ১৪ জন দুঃস্থ ও অসহায়ের মাঝে জাকাত ফান্ডের এক লাখ ১৪ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘১০ বছরে সামর্থ্যের অর্ধেকও দিতে পারেনি লিটন’

উল্লেখ্য, চারতলা বিশিষ্ট খুলনা মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এ মসজিদে পুরুষ, মহিলা, অক্ষম ও বয়স্কদের ওজু ও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। ইমাম প্রশিক্ষণ, হজযাত্রী নিবন্ধন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, অটিজম শিশু কর্নার, মৃত ব্যক্তিদের গোসলের ব্যবস্থা ও ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আবাসন ব্যবস্থাসহ গেস্ট রুম, কনফারেন্স রুম ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।