অনলাইন ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজনেদের মাঝে পাকিস্তানের জনপ্রিয় তারকা জুটি দুরেফিশান সেলিম-বিলাল আব্বাস খানকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। নেটিজেনরা বলছেন, দুরেফিশান-বিলাল আব্বাস গোপনে বিয়ে করেছেন। পাকিন্তানের সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে গোপন বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন। দুরেফিশান গোপন বিয়ের গুঞ্জনকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
একইসাথে তিনি পাকিস্তানি বিনোদন জগতে যাচাই-বাছাই না করে খবর প্রকাশের এই প্রবণতার কড়া সমালোচনা করেছেন। বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘এই গুজবগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যদি এমন কিছু ঘটত, তাহলে এতক্ষণে ছবি ঠিকই প্রকাশ্যে আসত।’‘ইশক মুর্শিদ’-এর মতো জনপ্রিয় নাটকের মাধ্যমে খ্যাতি পাওয়া এই অভিনেত্রী জানান যে, বিলাল আব্বাস খানের সাথে তার পেশাগত সম্পর্ক খুবই ভালো তবে একটি লুকানো সম্পর্কের খবরটি মোটেও সত্যি নয়।
তিনি বলেন, ‘সেটে আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আমরা প্রচুর হাসতাম, কারণ আমরা দুজনেই ছোট ছোট বিষয় থেকে আনন্দ খুঁজে নিই।’ তিনি পরিষ্কারভাবে জানান যে, তাদের মধ্যকার এই রসায়ন কেবল পর্দায়ই সীমাবদ্ধ।
গত বছর একজন ইউটিউবার দাবি করেন যে দুরেফিশান ও বিলাল আব্বাস গোপনে বিয়ে করেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সম্পর্ক গোপন রাখছেন। ‘ইশক মুর্শিদ’-এ তাদের জুটি এবং প্রচারণার সময়কার তাদের একসঙ্গে উপস্থিতিই এই গুজবের প্রধান কারণ ছিল।
কোনো নির্দিষ্ট নির্মাতার নাম উল্লেখ না করে দুরেফিশান ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়া খবর প্রকাশের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বিয়ে একটি ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু যদি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটত, মানুষ তা প্রকাশ করতে দ্বিধা করত না। কেউই এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত লুকায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণমাধ্যম এখন ভারতীয় মিডিয়ার কিছু প্রবণতার মতো হয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনো ধরনের সত্যতা যাচাই না করেই অনুমানভিত্তিক খবর প্রকাশ করা হয়।’
নিজের ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, মাত্র পাঁচ বছরের কর্মজীবনে তিনি যে ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। তার কথায়, ‘এটা খুব বেশি সময় নয় কিন্তু এত ভালোবাসা পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কখনো কখনো এটা আমাকে ভয়ও পাইয়ে দেয়।’