স্টাফ রিপোর্টার : জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আজ (০৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিজয় র্যালি, জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ, এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং দোয়া মাহফিলসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে রুয়েট প্রশাসন।
দিনের শুরুতে বেলা ১০টায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বিজয় র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে রুয়েটের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলন থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা যদি বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি এবং এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেয় তাহলে নিশ্চয় জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে আকাক্সক্ষা তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ডিজাইন ও রুয়েটের কেন্দ্রীয় পুকুরের ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, ফলিত বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদের জিলানী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এদিন জুলাই আন্দোলনে শহিদদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে বাদ জোহর রুয়েটের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় এবং স্থানীয় এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্রধান ফটক ও সুউচ্চ ভবন সমূহে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।