অনলাইন ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অন্যদের তুলনায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বড় শট খেলায় পুরুষ ও নারী উভয় দলের ক্রিকেটারদের দুর্বলতা স্পষ্ট। ফলে বড় শটে ভালো করতে এবার পাওয়ার হিটিং দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছে বিসিবি। বিশ্ব ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিংয়ে বর্তমান সময়ের সেরা কোচদের একজন জুলিয়ান উড। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছেন।
শুরুতে বাংলাদেশে এসে নারী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করেছেন জুলিয়ান। এরপর দেশের ঘরোয়া কোচদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সবশেষ গেল শুক্রবার থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন উড। আর সব জায়গায় কোচিংয়ে দীক্ষা দেয়ার সময় তার হাতে দেখা গেছে বিশেষ এক ব্যাট। যার নাম প্রো-ভেলোসিটি ব্যাট।
সম্প্রতি বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসকে উড এই ব্যাট দিয়ে ড্রাইভ, স্কয়ার কাট, পুলসহ বিভিন্ন শটের শ্যাডো প্র্যাকটিস করাচ্ছেন। এই ব্যাট ব্যাটসম্যানদের হাত-চোখের সমন্বয়, শট খেলার সঠিক ক্রম এবং কমপ্যাক্ট মেকানিক্স গড়ে তুলতে সহায়তা করে। ব্যাটটির ভেতরে থাকে আটটি রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড।
যত বেশি ব্যান্ড লাগানো হয়, তত কঠিন হয় ব্যারেলটি স্লাইড করানো। ব্যাটার যদি সঠিক মেকানিক্সে উচ্চ গতিতে সুইং করতে পারেন, তবে একটি ‘ডাবল ক্লিক’ শোনা যায়। আর যদি গতি ও টেকনিকে ঘাটতি থাকে, তবে কেবল একবারই ক্লিক শোনা যায়।
পাওয়ার হিটিং শেখার জন্য এই প্রো-ভেলসিটি ব্যাট কতটা কাজে দেবে এমন প্রশ্নও উঠছে। আজ সংবাদ সম্মেলনে জাকের আলি বললেন, ‘এটা নির্ভর করে ব্যক্তির ওপরে, একেকজনের সুইং একেক রকম। কারও সুইং বেসবল টাইপ, কারও সুইং গলফ টাইপ। তো এটা ডিপেন্ড করে কে কোনটা নেবে। আসলে ও আসার পরেই বলছে, “আমি তোমাদেরকে এখানে… তোমার বেসিকের মধ্যেই আমি চেঞ্জেসটা আনতে চাইছি।” মানে ও ডিফারেন্ট কিছু দিয়ে দেবে না। তো ঐরকম কিছুই বলছে। সো যার যার প্যাটার্ন অনুযায়ী ও এই কাজটা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
‘হ্যাঁ অবশ্যই, ভালো একটা ফিলিংস আসে। যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা বের করা যায়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ফোর্স লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে ফোর্স লাগে, আরও এফোর্ট দিতে হয়। তো এই জিনিসগুলো কন্টিনিউয়াসলি কাজ করলে অবশ্যই কাজে দিবে।’- বলেন টাইগার এই ব্যাটার।