নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বুধবার। রাত ১:১৪। ২০ আগস্ট, ২০২৫।

রাজশাহীতে শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!

আগস্ট ১৯, ২০২৫ ৯:০৬
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে শিক্ষককে ছুরি মেরে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দেওয়ার প্রতিশোধ নিয়েছে এক ছাত্রী। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্কুলের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষকের নাম মারুফ কারখী (৩৪)। সহকারী শিক্ষক মারুফ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা পড়ান। তার গলা ও হাতে জখম হয়েছে। তিনটি সেলাই পড়েছে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। সে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে’ ২০২৩ সালে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে টিসি দেওয়া হয়। বর্তমানে সে রাজশাহীর শহীদ কর্ণেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে।

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানের পতাকায় আলোকিত দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা

রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক কর্মকর্তা জানান, টিসি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষার্থীর ক্ষোভ ছিল। শুধু শিক্ষক মারুফ কারখীর প্রতি নয়, প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক-কর্মকর্তার প্রতিই তার ক্ষোভ ছিল। যে কারও ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল তার। দুর্ভাগ্যক্রমে দুপুরে মারুফ কারখী রাস্তায় তার সামনে পড়েন।

তিনি জানান, দুপুরে স্কুল ছুটি হলে মারুফ কারখী স্কুটি নিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় রাস্তায় অপেক্ষমাণ ছাত্রী ‘হেল্প, হেল্প’ বলে ডাকতে থাকে। বিপদে পড়েছে ভেবে শিক্ষক স্কুটি থেকে নেমে কাছে যেতেই হঠাৎ সে তার গলা লক্ষ্য করে ছুরি চালায়। হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শিক্ষক হাত ও গলায় জখম হন। স্থানীয়রা ছাত্রীকে আটক করে স্কুলে খবর দেন। আহত শিক্ষককে দ্রুত রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে তিনটি সেলাই দিতে হয়।

আরও পড়ুনঃ  মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঘটনার পর অভিভাবককে ডেকে ছাত্রীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। ঘটনার পরের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রী সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করছে।

আরও পড়ুনঃ  রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রেরণ

এ বিষয়ে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল নাঈম আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন তার পিএ আব্দুর রউফ হোসেন।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। তখন ওই ছাত্রীকে স্কুলে রাখা হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে, বিষয়টি নিজেরাই সমাধান করবেন।

এ নিয়ে থানায়ও কোনো অভিযোগ হয়নি বলেও জানান ওসি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।