অনলাইন ডেস্ক : ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে ভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয় বলে সতর্ক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনীতিক।
বিবিসি টুডেতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইইউ কূটনীতিক কায়া কালাস বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব মেনে নেওয়া আসলে একটি ফাঁদ। পুতিন আমাদের সেই ফাঁদে ফেলতে চাইছেন।
ইইউ নেতারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যে প্রথম সাক্ষাৎকারে এসব বলেছেন কায়া কাল্লাস।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দনবাস অঞ্চল বহুদিন ধরেই রাশিয়ার দাবিকৃত এলাকা যেখানে সামরিক আগ্রাসনের কারণে গত দশ বছরে ১৫ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
শান্তির বিনিময়ে দনবাস অঞ্চল ক্রেমলিনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেন বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে ট্রাম্প ‘ভূমি অদলবদলের’ প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলেছেন।
ক্রেমলিনের ‘ওয়ান্টেড লিস্টে’ থাকা কালাস আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি স্বীকার করেছেন, এখনো পর্যন্ত প্রতিরোধী বাহিনী গড়ে তোলার জন্য খুব বেশি কংক্রিট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সবচেয়ে জোরালো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা হলো শক্তিশালী ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী গঠন করা। এমন নিশ্চয়তা তৈরি করতে হবে যা শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ নয়।
তিনি আরও বলেন, ন্যাটো জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নির্ধারণ করতে হবে তারা কী অবদান রাখতে পারবে। তবে এখনো স্পষ্ট নয় যে সেই বাহিনী কীভাবে কার্যকর হবে।
ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং ফিনল্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ ইইউ দেশগুলোর নেতারা গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। তার কয়েকদিন আগে ট্রাম্প আলাস্কার একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আতিথ্য দিয়েছিলেন।
আলাস্কার শীর্ষ বৈঠক নিয়ে কালাস বলেন, পুতিন যা চেয়েছিলেন সবই পেয়েছেন। সেটি তার শান্তি আলোচনায় আগ্রহকে প্রভাবিত করবে। তাকে তেমন ভাবেই স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন যেন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হয়। সেটাও তিনি পেয়েছেন। পুতিন আসলে হাসছেন, হত্যাযজ্ঞ থামাচ্ছেন না বরং বাড়াচ্ছেন। আমরা ভুলে যাচ্ছি, রাশিয়া একটুও ছাড় দেয়নি।