নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ শুক্রবার। রাত ৩:৪৮। ২৯ আগস্ট, ২০২৫।

নির্দিষ্ট অর্থে আজীবন থাকা, কাজ ও ব্যবসার সুযোগ দেবে সৌদি, যত টাকা লাগবে

আগস্ট ২৮, ২০২৫ ৭:৩১
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বিদেশি পেশাজীবী ও বিনিয়োগকারীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সুযোগ দিয়ে থাকে সৌদি আরব। মূলত রেসিডেন্সি পোগ্রামের আওতায় এ সুযোগ মেলে। যা ‘সৌদি গ্রিন কার্ড’ নামেও পরিচিত। এই প্রোগ্রামের আওতায় বিদেশি নাগরিকরা কোনো স্থানীয় স্পন্সর বা কফিল ছাড়াই দেশটিতে বসবাস, কাজ এবং ব্যবসার সুযোগ পান। দেশটির ‘ভিশন ২০৩০’-এর অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী এবং বিদেশি মেধা ও বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করা।

এই প্রোগ্রামের সুবিধাগুলো কী কী?

যদি আপনি এ রেসিডেন্সি পোগ্রামের আওতায় যান তাহলে আপনি পাবেন—

আরও পড়ুনঃ  গোটা জাতি এখন নির্বাচনমুখী : বিভাগীয় কমিশনার

পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে থাকার সুযোগ।
নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার বা যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার স্বাধীনতা।
সৌদিতে সম্পত্তি কেনা ও তার মালিকানা লাভের সুযোগ (তবে মক্কা, মদিনা ও সীমান্ত এলাকার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না)।
নিজ দেশ থেকে অবাধে আসা-যাওয়ার সুবিধা।
স্ত্রী ও সন্তানদের স্পন্সর করার সুযোগ।
রেসিডেন্সির প্রকারভেদ

এই প্রোগ্রামের অধীনে দুই ধরনের রেসিডেন্সি পাওয়া যায়—

স্থায়ী রেসিডেন্সি: এর জন্য এককালীন আপনাকে ৮ লাখ সৌদি রিয়াল ফি দিতে হবে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সমান। এই রেসিডেন্সির মেয়াদ আজীবন বৈধ থাকবে।

আরও পড়ুনঃ  পুঠিয়ায় ভুট্টা খেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধার লাশ, ফিরোজ গ্রেফতার

নবায়নযোগ্য রেসিডেন্সি: এর জন্য প্রতি বছর ১ লাখ সৌদি রিয়াল দিতে হবে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৩৩ লাখ টাকার সমান। এটি প্রতিবছর নবায়ন করা যাবে।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

আবেদনের জন্য আপনার নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

বয়স ২১ বছরের বেশি হতে হবে।
নিজ দেশের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে এবং কোনো ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড থাকা যাবে না।
বৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে হবে।
আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দেখাতে হবে।
কীভাবে আবেদন করবেন?

আরও পড়ুনঃ  ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

আবেদনের প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ—

প্রথমে পিআর.গভ.এসএ (pr.gov.sa) এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অনলাইন ফর্মটি পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন: পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট) আপলোড করুন।
অনলাইনেই নির্ধারিত ফি জমা দিন।
আবেদনের অনুমোদন পেতে ১ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়:

আপনি রেসিডেন্সি পেলেও আপনার সন্তানেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেসিডেন্সি পাবে না।
মক্কা, মদিনা এবং সীমান্ত অঞ্চলের মধ্যে কোনো সম্পত্তি কেনা যাবে না।
নবায়নযোগ্য রেসিডেন্সি সময়মতো নবায়ন করতে হবে।
সূত্র: সাচ.পিকে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।