নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। রাত ৮:৫৩। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

উত্তাল নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ ১১:২১
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষার্থী-জনতার বিক্ষোভে উত্তাল নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দেশটির বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত পার্টি (আরএসপি)। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন আরএসপির সাধারণ সম্পাদক কবীন্দ্র বুরলাকোতি।

বিবৃতিতে কবীন্দ্র বুরলাকোতি বলেন, “এই বিক্ষোভ প্রমাণ করেছে যে নেপালি কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) জোট দেশ পরিচালনা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। এই সরকার ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির অবিলম্বে পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।”

আরও পড়ুনঃ  নাটোরে পুকুরে গোসলে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু

“সেই সঙ্গে আমাদের দাবি, এই বিক্ষোভে যত খুনের ঘটনা ঘটেছে এবং এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর যেসব দুর্নীতি হয়েছে— সেসবের তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করুক বিচার বিভাগ। আমরা শিক্ষার্থী-জনতাদের গুলি করে হত্যার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”

গত বছর নেপালের সুপ্রিম কোর্ট দেশটিতে সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগমগুলোকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমগুলোকে নিবন্ধনের জন্য গত ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে ভাঙ্গায় বিএনপির প্রতিবাদ সভা

কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সরকারিভাবে নিবন্ধন না করায় ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে, সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ করে দেশটির স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থী এবং তরুণ প্রজন্মকে। জেন জি নামে পরিচিত এই তরুণ প্রজন্ম গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকেই সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

অবশেষে গতকাল রোববার থেকে শুরু হয় আন্দোলন এবং আজ সোমবার তা রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজধানী কাঠমান্ডুতে কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভে নেমেছেন শিক্ষার্থী-জনতা। শুরুর দিকে এই বিক্ষোভে শীর্ষ দাবি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি এলেও বর্তমানে এটি প্রায় পুরোপুরি সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। কাঠমান্ডুর বাণেশ্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২০ জন, আহত হয়েছেন আরও বহু সংখ্যক।

আরও পড়ুনঃ  দুর্গাপুরে ট্রাকচাপায় অটোভ্যান চালকের মৃত্যু

নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিরও পদত্যাগের দাবি উঠল।

সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।