স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে রাজশাহীর শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে ফের বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ‘নিরাপদ বিদ্যালয় চাই’ লেখা ব্যানার হাতে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা সড়কও অবরোধ করে রাখেন।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্তের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। তবে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবারও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগের দিন সোমবারও একই দাবিতে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ হয়। অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাবুব আলম সুযোগ পেলেই ছাত্রীদের গায়ে হাত দেন। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর সিঁড়িতে একা পেয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন তিনি। এ নিয়ে গত রোববার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন অভিভাবকেরা।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক শাহাবুব আলম সোমবার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। মঙ্গলবার তার বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।