হেলাল উদ্দীন, বাগমারা: গতবছরের ৫ আগস্ট ছাত্র -জনতার ওপর হামলা ও আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আল মামুনকে (৫৩) পুলিশ আটক করেছে। তিনি উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের খাজুর গ্রামের বাসিন্দা। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকও। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত।
বাগমারা থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের মাড়িয়া এলাকায় যুবলীগ নেতা আল মামুন অবস্থান করছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে। খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশের একটি দল তাঁকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আল মামুনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনছুর রহমানের ওপর হামলা ও গুলি করার ঘটনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ওই দিন উপজেলার চানপাড়া আর্দশ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সামনে মুনছুর রহমানের ওপর হামলা চালানো হয়৷ পরে পায়ে গুলি করে মৃত ভেবে ফেলে যায়। ওই ঘটনার পর থানায় মামলা হয়। তবে ওই মামলার এজাহারে তাঁর ছিল না।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আত্নগোপনে ছিলেন। তবে মাঝে মধ্যে এলাকায় আসলেও সর্তকতার সঙ্গে চলাফেরা করতেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে চলতেন।
স্থানীয়রা জানান,আল মামুন সাবেল সংসদ সদস্য এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ জন ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের সভাপতি হিসেবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। তবে পরিবারের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সাংগঠনিক ভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তিনি আত্নগোপনে নয়, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বাড়ির বাইরে যেতেন না। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার ও এলাকায় ফিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।