নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ সোমবার। দুপুর ২:৪৮। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পর্যটনশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫ ৮:১৭
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটনশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচনে পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হবে বলে আশাবাদী তিনি।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৫’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। পর্যটন বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটনশিল্পের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পর্যটন শিল্পের বিকাশের ফলে একদিকে আমাদের পর্যটন অঞ্চলগুলোর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও সচেতনতা বাড়ছে।’

আরও পড়ুনঃ  যশোরের শার্শা উপজেলায় হাফিজুরের স্বপ্ন মরদেহ হয়ে ফিরছে

এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ঘোষিত দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Tourism and Sustainable Transformation’ যার বাংলা ভাবার্থ ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’ যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুনঃ  খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তিনি বাণীতে বলেন, পর্যটন খাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্য নিদর্শন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং অকৃত্রিম আতিথেয়তা যেকোনো দেশি-বিদেশি পর্যটককে আকর্ষণ করতে পারে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যটনের এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সচেষ্ট রয়েছে।

পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চলগুলোর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদের সঠিক ব্যবহার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সম্প্রসারণ, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  কোনো দলের অবৈধ-অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকট ফেলা যাবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পর্যটনশিল্পের যথাযথ বিকাশ নিশ্চিতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এ শিল্পের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আমি আশা করি, পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি পরিবেশগত অবক্ষয় রোধে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল অবদান রাখবেন।’-ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।