স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার ১০৫ জন আাসমির সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছন। রোববার (১২) দুপুরে রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে- ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের কর্মী ফারুকের মরদেহ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধারে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন। মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ শিবিরের ৩৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীসহ মোট ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।
২০১২ সালের ৩০ জুলাই ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৯ সালে হয় চার্জগঠন। এরপর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, সাক্ষ্য, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রোববার (১২ অক্টোবর) রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী আশরাফ মাসুম জানান, এই মামলার বিচার চলাকালে ৯ জন মারা যান। আদালত ১০৫ জনের বিচার করেছে। তার ভাষ্য- সেদিনের ঘটনায় যেসব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সরাসরি ভিকটিম ছিলেন তারা সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কোনো আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন। একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা চলমান ছিল। সম্প্রতি সেই মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।