স্টাফ রিপোর্টার : দ্বিতীয় দফায় দশম ও শেষ দিনের মতো চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রচারণা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা মিলছে প্রার্থীদের। হাতে লিফলেট নিয়ে তারা ছুটছেন ভোটারদের কাছে, দিচ্ছেন শেষ মুহূর্তের নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের ভাষায়, দেশের বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হলেও তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার রাত ১২টায় প্রচারের সময় শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোট।
এদিকে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শিবির সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট-এর ২০০ প্যাকেট নাস্তা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের সামনে থেকে এসব খাবার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেলের পদপ্রার্থী মোজাহিদ ফয়সাল বলেন, “আচরণবিধিতে খাবার বিতরণের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনকি খরচের সর্বোচ্চ সীমাও নির্ধারিত নয়। কমিশন আমাদের প্রার্থীকে ‘টাকার উৎস’ নিয়ে প্রশ্ন করেছে—যা তাদের এখতিয়ারের বাইরে।”
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, “তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। হাতেনাতে ধরার পর সতর্ক করা হয়েছে। আমরা মোবাইল কোর্ট নই, তাই শাস্তি দিতে পারি না। তবে দায়িত্বের অংশ হিসেবে খাবার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রার্থীদের খরচ কমাতে আমরা মনোনয়ন ফি এক হাজার থেকে দুই শ টাকা করেছি। তারপরও অতিরিক্ত ব্যয় করা আচরণবিধির পরিপন্থী। প্রজেকশন মিটিং মানে পরিচিতি সভা—নাস্তা দেওয়া তার অংশ নয়। আচরণবিধিতে কিছু লেখা না থাকলেও এর অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে হবে।”