নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। রাত ১১:৪২। ১৯ অক্টোবর, ২০২৫।

শার্শার ঠেঙামারী বিল : কচুরিপানায় ডুবে আছে হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি

অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ৬:২৫
Link Copied!

মনির হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিলে কচুরিপানা ও জলাবদ্ধতার কারনে এবছরও হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশংকা রয়েছে। এ কারণে বোরো ধান রোপন করা নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

ঠেঙামারী বিলে এখন মাঠ ভর্তি কচুরিপানা। যা পরিস্কার করা দুরহ ব্যাপার। কৃষকদেরও মাথায় হাত। ইরি বোরো মৌসুম আগত। নভেম্বরের শেষের দিকে বীজতলা তৈরীর সময়। এখনো বিল ভর্তি পানি রয়েছে। কবে নামবে বিলের পানি কেউ জানে না। সেই সাথে মাঠ জুড়ে কচুরিপানা। জমিতে পা ফেলানোর জায়গা নেই। শার্শা সীমান্তের ভারতের ইছামতি নদীর পানি এখনো প্রবেশ করছে বিলে। মাঠে কি ভাবে ধান চাষ করবে বোরো মৌসুমে এই চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে চাষিদের। বিলে এখনো ৫ থেকে ৭ ফুট পানি জমে রয়েছে।

স্থানীয়রা কচুরিপানা পরিস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। শনিবার বিকেল থেকে তারা বিল পরিস্কার করার জন্য ভাড়ায় অন্য উপজেলার থেকে কচুরিপানা কাটার মেশিন এনেছেন। মেশিনের সাহায্যে কচুরিপানা কেটে জমি পরিস্কার করার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, এবছর বিলে এবং খালে যে পরিমান কচুরিপানা জমে রয়েছে তাতে বোরো ধান লাগানোর কোনো সম্ভাবনাই তারা দেখছেন না। কচুরিপানা পরিস্কার করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু এতো টাকা ব্যয় করে যদি সময় মত বিলের পানি না নামে। তা হলে সমস্ত টাকাটাই বিফলে যাবে।

স্থানীয় কৃষক নায়েব আলী জানিয়েছেন, মেশিনে এক বিঘা জমির কচুরিপানা পরিস্কার করতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়বে। আর এই কচুরিপানা রাখতে দুই কাঠা জমি ফেলে রাখতে হবে।

কৃষক আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, মাঠে কচুরিপানা পরিস্কার করা মেশিন আনা হয়েছে। যদি এতে খরচ কম হয় ও সহজে পঁচে নষ্ট হয় তা হলে তারা কচুরিপানা কাটা মেশিন দিয়ে জমি পরিস্কার করবেন। তিনি আরও বলেন, এতো কিছুর পরেও ধান না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, আমরা ঠেঙামারী বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই স্থায়ী সমাধান চাই। শুনেছি সরকার খাল সংস্কার ও গেট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন। যদি বাস্তবায়ন হয় তা হলে মাঠে ফসল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যায় জর্জরিত। সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভারতীয় ইছামতি নদীর পানি এসে মাঠের পাশাপাশি বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে যায়। খালের পানি বের করার কোন ব্যবস্থা নেই। শুনেছি সরকারিভাবে খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যার সমাধান হবে কি না বলা যাচ্ছে না।

একই কথা জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সমস্যা এটা। বছরের বেশির ভাগ সময় ভারতীয় পানিতে খালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কয়েকবার পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।