স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন খায়রুজ্জামান।
দলীয় কর্মীরা বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ১০ এপ্রিল দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলেন এবং গত বুধবার জমা দেন। একই দিনে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার মনোনয়নপত্র তুলে জমা দেন। এর আগের দিন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহফুজুল আলমও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দলীয় নেতা-কর্মীরা আরও বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র খায়রুজ্জামান অংশ নেবেন নাকি রাজশাহীর কোনো একটি আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন, তা নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনা চলছিল। খায়রুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন, খায়রুজ্জামান জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হলে পুরো রাজশাহী জেলার উন্নয়নে তিনি ভ‚মিকা রাখতে পারবেন। আবার আরেকটি পক্ষের মতামত ছিল, রাজশাহী সিটিকে মেয়র খায়রুজ্জামান যে জায়গায় নিয়ে গেছেন, সেখানে তাঁর কোনো বিকল্প নেই। তাই সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে তাঁকেই আবার দায়িত্ব নিতে হবে।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বার্তায় খায়রুজ্জামান লিটনকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করার পর এ নিয়ে সব আলোচনার অবসান ঘটল। আজ বেলা সাড়ে তিনটায় খায়রুজ্জামান রাজশাহী নগরের কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, খায়রুজ্জামান ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেনের কাছে হেরে যান। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই পুনরায় মেয়র হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। দীর্ঘদিন তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম সভাপতিমÐলীর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।