নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বুধবার। রাত ৩:৩৫। ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ ৫:১৩
Link Copied!

বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারের তরকারি পট্রিতে অনুমোদনহীনভাবে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালিয়ে সাধারন রোগীদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপক ডা. গোলাম ফারুক নামের এক অর্থোপেডিক্স সার্জনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁকড়া রোডের একটি অন্ধকার ঘরে ‘ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামের এই অবৈধ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির কোনো সরকারি অনুমোদন নেই, নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও। তবুও মনোরম সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রতি শুক্রবার এখানে ২০০-র বেশি রোগী দেখেন ডা. গোলাম ফারুক। রোগী দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে উচ্চ মূল্যে সেগুলো তার নিজের প্রতিষ্ঠানেই করাতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সাক্ষরতার হার গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কী শিখছি - জেলা প্রশাসক

রোগীরা অভিযোগ করেন, বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনলে তিনি রিপোর্ট গ্রহণে গড়িমসি করেন এবং খারাপ ব্যবহার করেন। যন্ত্রপাতি ও দক্ষ টেকনিশিয়ান ছাড়াই পরিচালিত এসব পরীক্ষায় প্রায়ই ভুল রিপোর্ট আসে। এর ফলে অনেক রোগী ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন। কেউ কেউ উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বস্ব বিক্রি করে রাজধানী বা বিদেশে পর্যন্ত গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ডা. গোলাম ফারুক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বহু বছর আগে বাগআঁচড়ায় এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। শুরুর প্রচারণায় তিনি গরিবদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। অভিযোগ রয়েছে, তার ভাই গোলাম মোরশেদ আলী যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সিভিল চাকরিজীবী প্রতিনিয়ত সেখানে টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট ছাড়াই রক্ত পরীক্ষা পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুনঃ  কাঠমান্ডুতে কারফিউ-অস্থিরতা, বাংলাদেশের অনুশীলন স্থগিত

গত শুক্রবার এক রোগী পরীক্ষা করতে এসে গোলাম মোরশেদকে পরীক্ষা করতে দেখে আপত্তি করলে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ডা. ফারুক দ্রুত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে যশোরে চলে যান।

আরও পড়ুনঃ  দুর্গাপুরে ভোক্তা অধিকারের পৃথক অভিযানে চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার জরিমানা

এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ও সচেতন মহল অবিলম্বে অবৈধ এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. গোলাম ফারুক স্বীকার করে বলেন, আমার এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। তবে এটি আমার যশোরে অবহিত হাসপাতালের নামে পরিচালিত হচ্ছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক পারভেজ বলেন, বাগআঁচড়ায় অনুমোদনহীন কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।