স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আগে সংস্কার-বিচার পরে নির্বাচন-গণতন্ত্র এমন কথা আজকে অন্তর্বিকালীন সরকারের কাছে শুনতে চাইনা। শনিবার দুপুরে রাজশাহী ভূবন মোহন পার্কে বিএনপির সদস্য ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘‘আমরা জানি এখানে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে ন্যায় বিচারের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সংস্কার আর বিচার দুইটোই চলমান প্রক্রিয়া। এটা এ রকম নয় আমরা সংস্কার করে দিলাম সব সংস্কার হয়ে গেল। আমরা বিচার করে দিলাম সব ন্যায় বিচার হয়ে গেল। সংস্কার প্রক্রিয়া, বিচার প্রক্রিয়া এরকম নয়। বিগত স্বৈরাচার সরকার বলতো আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র; সেটা ছিল ভূয়া কথা। কাজেই আজকে কারও মুখে এটা শুনতে চাইনা যে আগে সংস্কার হবে, আগে বিচার হবে, পরে গণতন্ত্র হবে পরে নির্বাচন হবে। এই কথা আজকে আমরা অন্তরবর্তিকালিন সরকারের কাছে শুনতে চাই না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দেশের মানুষ যে দায়িত্ব অর্ন্তবর্তিকালিন সরকারকে দিয়েছে, দেশের মানুষ আপনাদের উপর আস্তা রেখেছে। যত দ্রুত সম্ভাব একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের আকুতি গণতন্ত্রকে তাদের হাতে ফিরিয়ে দিন। বিগত ১৬ বছর তরুণ সমাজ, প্রবীণ সমাজ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি ২০০৮ সালের নির্বাচনও একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। আজকে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, প্রবীন সমাজ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মখ হয়ে আছে।
শৃংখলার সঙ্গে সকাল দায়িত্ব পালন করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা শৃংখলভাবে একটি পরিবেশ পরিস্থিতি বাংলাদেশে সৃষ্টি করবো যাতে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। আমরা ১৭ বছর ধর্য্য রেখেছি। আমরা আগামী কয়েক মাস ধর্য্য রাখবো। আমরা নিয়মের বাইরে যাবনা; আমরা শৃংখলার বাইরে যাবনা, আমরা জোর করে কারও উপর কিছু চাপিয়ে দিবননা। কেন না সেটি গণতন্ত্র নয় সেটি স্বৈরাচার।
সদস্য ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, যুগ্ম আহবায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ।