অনলাইন ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে গত সপ্তাহে দেখা করেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১৫ জন কথিত ইমাম। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। ইমামদের এ দলটি এখনো ইসরায়েলে অবস্থান করছে। তারা দাবি করছেন, মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে তারা ইসরায়েলে গেছেন।
তবে সুন্নি মুসলিমদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এই ইমামদের কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ইউরোপের এই কথিত ইমামরা মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ফেসবুকে এক বিবৃতিতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, “এই ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, তাদের সফরের লক্ষ্য ছিল ‘আন্তঃধর্মীয় সংলাপ এবং সহাবস্থান’ প্রচার করা। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গণহত্যা, আগ্রাসন এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যাকে উপেক্ষা করে এগুলো করছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও বলেছে, “তারা ইসলাম অথবা মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব করে না। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক লাভের আশায় নৈতিকা বিসর্জন দেওয়া, নিজ ধর্মের সঙ্গে বেঈমানি করা এসব ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা সতর্কতা দিচ্ছি।”
এই ‘বিপদগামী ব্যক্তিরা’ ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না উল্লেখ করে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় আরও বলেছে, তার নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে রয়েছে।
এসব কথিত ইমামদের সমালোচনা করেছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ইমামস। তারা বলেছে, এই ইমামরা ইউরোপীয় মুসলিমদের কোনো বড় প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি ক্রিমিনালদের সঙ্গে কথিত ইমামদের বৈঠককে মিডিয়ায় যেভাবে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে এতে তারা বিষ্মিত।
সূত্র: দ্য নিউ আরব