নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। রাত ১:৫৭। ৬ আগস্ট, ২০২৫।

ক্ষুধার কাছে হার, গাজায় নিভে গেল আরও ৬ প্রাণ

আগস্ট ৩, ২০২৫ ১০:৩৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগে আরও ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ওই ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়েছে।

উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে তৈরি হওয়া ভয়াবহ খাবারের সংকট ও অমানবিক পরিস্থিতিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির এই ঘটনা। এদিকে, মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, রোববার জ্বালানিবাহী দুটি ট্রাক গাজার দিকে রওনা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এ নিয়ে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে; যাদের ৯৩ জনই শিশু। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার ও দাতব্য সংস্থা বলেছে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সেই মুহূর্তটাই আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি: আজমেরী হক বাঁধন

মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল আল-কাহেরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে গাজায় সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলি কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করে নেওয়ার পর রোববার এই উপত্যকায় ১০৭ টন ডিজেলবাহী দুটি ট্রাক প্রবেশ করছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে বর্তমানে গাজার লাখ লাখ বাসিন্দা দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় জ্বালানির অভাবে হাসপাতাল সেবা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে সেখানকার চিকিৎসকরা কেবল মুমূর্ষু ও গুরুতর আহতদের চিকিৎসায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। মিসর থেকে যাত্রা শুরু করা ট্রাক দু’টি গাজায় প্রবেশ করেছে কি না—সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনঃ  গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল

এর আগে, গত মার্চে গাজায় জ্বালানি সরবরাহ স্থগিত ও সহায়তা প্রবেশ সীমিত করে দেয় ইসরায়েল। সেই সময় জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

গাজার সংকটের ঘটনায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করে আসছে ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকায় ইসরায়েল সম্প্রতি দিনের নির্দিষ্ট সময়ে যুদ্ধবিরতি, আকাশপথে ত্রাণ ফেলানো এবং ত্রাণবাহী গাড়িবহরের নিরাপদ চলাচলের নিশ্চয়তা দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রুই-কাতলা এখনো ধরা পড়ছে না

জাতিসংঘ বলছে, গাজা উপত্যকার লাখ লাখ অভুক্ত মানুষের জন্য কেবল আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ যথেষ্ট নয়, বরং ইসরায়েলকে স্থলপথে আরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দুর্ভিক্ষের মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা সিওজিএটি বলেছে, গত জুন মাস থেকে গাজায় ৩৫টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। তবে এসব ট্রাকের বেশিরভাগই পৌঁছেছে জুলাইয়ে।

সূত্র: রয়টার্স।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।