নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার। বিকাল ৫:৪৮। ২৮ আগস্ট, ২০২৫।

গাজায় একদিনে নিহত ৭৬, মোট প্রাণহানি প্রায় ৬২ হাজার ৯০০

আগস্ট ২৮, ২০২৫ ৯:২৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলবার সন্ধ্যা থকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৬ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯৮ জন। বুধবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এর ফলে ইসরায়েলি বাহিনীর গত প্রায় দুই বছরের অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ হাজার ৮৯৫ জনে এবং আহত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৭ জন।

নিহতদের মধ্যে ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি ও নিক্ষিপ্ত গোলায়। বাকি ১০ জন মারা গেছেন ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে। এই ১০ জন মৃতের মধ্যে ২ জন শিশুও আছে।

বুধবারের পর গাজায় অপুষ্টিজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১৩ জনে। এদের মধ্যে ১১৯ জনই শিশু।

এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১০৬ জন।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে বিশেষ অভিযানে ১ জনসহ গ্রেপ্তার ১৩

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বুধবার ভোরবেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার হাসপাতালগুলোতে ৭৬ জনের মরদেহ এবং ২৯৮ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। তবে আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ হাজার ৭৪৪ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৯ জন ফিলিস্তিনি।

মে মাসের শেষ দিক থেকে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ মে প্রথম গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা এবং তারপর থেকে নিয়মিতই এটি ঘটছে।

আরও পড়ুনঃ  একাত্তর ইস্যুতে পাকিস্তানের দাবির সঙ্গে একমত নয় ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২ হাজার ১৫৮ জন নিহত এবং ১৫ হাজার ৮৪৩ বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

আরও পড়ুনঃ  নিরপেক্ষ জায়গায় ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী পাকিস্তান

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।