নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। রাত ৪:০০। ২১ জুলাই, ২০২৫।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামী গ্রেফতার

জুলাই ২০, ২০২৫ ৯:১৫
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : র‌্যাব-৫ সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর অভিযানিক দল রোববার (২০ জুলাই) হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার করেছে। ধৃত আসামীরা হলো- মৃত সলেমান আলীর ছেলে সাদিকুল ইসলাম (৩৮) এবং শিবগঞ্জ থানার চৈতন্যপুরের সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী মোকতারা বেগম (৩২)। রোববার রাত ৩ ঘটিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার গোলাবাড়ী এলাকা হতে গ্রেফতার করে। খবর বিজ্ঞপ্তির।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ও আসামীগন পরস্পর জ্ঞাতিগোষ্ঠি, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈত্রিক বসতভিটায় বাড়িঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। প্রায় এক বছর পূর্বে বাদি তার ভাগের জমিতে বাড়ি ঘর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে আসামীগণ তাকে বাড়ি ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করে। ফলে বাদি তাদের ভিটের জমি মাপজোখ করার জন্য গ্রাম্য শালিস ডাকেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘হেফাজতকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না’-মুফতি বশির উল্লাহ

শালিসদারগণ উভয়ের জমির সীমানা মাপজোখ করে দেখতে পায় যে, আসামীগণ বাদির প্রাপ্য জমির প্রায় ০১ ফুট ভিতরে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছেন। আসামীদের পাকা বাড়ি ভেঙ্গে দখলকৃত জমি উদ্ধার করা সম্ভব নয় মর্মে জমি বাবদ বাদিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য শালিসদারগণ আসামীগণকে বলে কিন্তু আসামীগণ শালিসদারগণের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এবং বাদির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ।

৫ জুলাই ২০২৫ বাদি তার নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে এবং বাদিসহ তার স্ত্রী ও কন্যা খালেদা বেগম, লিপি বেগম কাজে সাহায্য/ তদারকি করেন। এমন সময় পূর্ব পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রমূলে এজাহারনামীয় আসামীগণ হাতে হাঁসুয়া, কাতা, লাঠি, লাদনা, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে তাদের ছাদ হতে বাদির ছাদে আসে এবং তাদের হাতে থাকা লাঠি লাদনা ও লোহার রড়, হাঁসুয়া, কাতা ও কোপতার উল্টা দিক দিয়া বাদিসহ তার স্ত্রী কন্যাকে মারপিট করতে থাকলে তারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছাদ হতে নীচে নেমে আসে।

আরও পড়ুনঃ  ভুল ও অসঙ্গতিতে ভরা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র

আসামীগণ ক্ষিপ্ত ও হ্রিংস্র হয়ে ছাদ থেকে নেমে আসামী মামুন বাদির বাম পায়ের হাঁটুর উপরিভাগে সজোরে কোপ মারলে বাদি মাটিতে পড়ে যায়। আসামী সাদিকুল বাদিকে কোপাইতে উদ্দত হলে বাদিকে বাঁচানোর জন্য তার কন্যা খালেদা তার উপর পড়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করে।

খুনি আসামী নিয়ামত বাদির মেয়ে খালেদার ডান হাত মোচড়াইয়া ধরে এবং সাদিকুলের হাত হতে ধারালো কাতা লইয়া হত্যার জন্য খালেদার ঘাড়ে একাধিক কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে খালেদা নিস্তেজ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও অন্যান্য আসামীগণ লাদনা দিয়ে খালেদার শরীরসহ বাদির অপর কন্যা ও স্ত্রীকে আঘাত করে আহত করে।

আরও পড়ুনঃ  জিয়া পরিবারকে কটূক্তির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিএনপির বিক্ষোভ

ইতোমধ্যে সেখানে লোকজন উপস্থিত হলে আসামীগণ সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর পিতা মো. সবুর আলী(৬৬) বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ১৫ জন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ০৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।-খবর বিজ্ঞপ্তি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।