নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার। রাত ৮:৫২। ২১ আগস্ট, ২০২৫।

ট্রাম্প কেন ভারতকে চাপে ফেললেন, পাকিস্তানকে সুযোগ দিলেন?

আগস্ট ২১, ২০২৫ ৩:৩৩
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : নভেম্বরে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর পাকিস্তানের অনেকেই ধারণা করেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ তাদের জন্য কঠিন হতে পারে। কারণ প্রথম মেয়াদে তিনি প্রকাশ্যে ভারতকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন এবং পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছিলেন “প্রতারণা” ও “সন্ত্রাসীদের আশ্রয়” দেওয়ার জন্য।

কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদের ছয় মাসের মাথায় পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পর এখন যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্ক সংকটে, আর পাকিস্তান ধীরে ধীরে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

গত আগস্টে ট্রাম্প ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন। তিনি নয়াদিল্লির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসান এবং কড়া ভাষায় বলেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করল তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। তারা চাইলে তাদের ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতিকে একসঙ্গে ডুবিয়ে দিতে পারে।”

আরও পড়ুনঃ  রোহিতের জায়গায় ওয়ানডে অধিনায়ক শ্রেয়াস!

অন্যদিকে পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৯ শতাংশ শুল্কহার—যা আঞ্চলিক গড়ের চেয়ে কম এবং ভারতের ওপর আরোপিত শুল্কের তুলনায় অনেক কম।

ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে তেল অনুসন্ধান নিয়ে যৌথ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা ও বিরল খনিজ সম্পদে বিনিয়োগের সুযোগও প্রস্তাব করেছেন।

এ ছাড়া ইসলামাবাদ চুক্তি করেছে জ্যাভলিন অ্যাডভাইজর্সের সঙ্গে, যার নেতৃত্বে আছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জর্জ এ সোরিয়াল ও কিথ শিলার। একই সঙ্গে পারিবারিক যোগাযোগও জোরদার করেছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুনঃ  ডেঙ্গু রোগী ২৭ হাজার ছাড়ালো

ট্রাম্প পরিবারের সমর্থিত একটি ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল’ গত এপ্রিল পাকিস্তানের ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জ্যাকারি উইটকফ, যিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্টিভ উইটকফের ছেলে এবং বর্তমানে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ দূত।

তবে সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা সতর্ক করেছেন যে, পাকিস্তানের নেতৃত্ব সাম্প্রতিক সাফল্যে অতিরিক্ত আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছে। সাবেক মার্কিন দূত মালিহা লোধি বলেন, “তোষামোদ কোনো কৌশল নয়—এটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানও নয়।”

আরও পড়ুনঃ  ২৯ বলে ১০ ছক্কায় কক্সের রেকর্ড

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই যোগাযোগের মূল চালিকা শক্তি। উদ্বোধনী সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভিকে কংগ্রেসকে আশ্বস্ত করার জন্য ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছিল।

তবে ইসলামাবাদ এখন এই সখ্যতাকে স্থায়ী করতে চায়। বিশেষ করে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম—যেমন আক্রমণ হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে নৌবাহিনীর হার্ডওয়্যার—অর্জনের দিকে নজর রয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান বলেন, “আমরা ১৯৫০–এর দশকের সোনালি দিনে ফিরতে পারব না, কিন্তু আমরা এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে পারি যা যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান—দুই দেশেরই উপকারে আসবে।”

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।