নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বৃহস্পতিবার। দুপুর ১২:৫৩। ১৯ জুন, ২০২৫।

দারুণ লড়েও জয়বঞ্চিত মেসি-সুয়ারেজদের মায়ামি

জুন ১৫, ২০২৫ ৫:০৫
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি মিশরীয় ক্লাব আল-আহলির মুখোমুখির হয়। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে দারুণ সব সেভ করে দুই দলকেই জয়বঞ্চিত করেছেন উভয় গোলরক্ষক। মেসির ফ্রি-কিক কিংবা বাঁ পায়ের বাঁকানো শটও তাই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি। ফলে আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো মায়ামিকে।

এর আগে তিনবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। তখন অবশ্য আর্জেন্টাইন মহাতারকার গায়ে বার্সেলোনার জার্সি, আর বিশ্বকাপের পরিসরও ছিল ছোট। সাত দল থেকে অভূতপূর্বভাবে এই প্রথমবার ফিফা ক্লাবের এই মেগা টুর্নামেন্ট ৩২ দলে রূপ দিয়েছে। এ ছাড়া ইন্টার মায়ামির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও খুব একটা সুখকর নয়। ফলে এবার মেসির লক্ষ্যটা ছিল সর্বোচ্চ পারফর্ম করা। দল কতদূর যেতে চায় সেই আলাপ তিনি সরিয়ে রেখেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  ইরান ও ইসরাইলকে চুক্তিতে পৌঁছানোর পরামর্শ দিলেন ট্রাম্প

ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরুর কথা ছিল মায়ামি-আহলির এই ম্যাচ। পরে আসরের উদ্বোধনী পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে বল মাঠে গড়াতে কিছুটা বিলম্ব হয়। শুরু থেকেই দুই দল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার অনেক বড় সুযোগ ছিল আল আহলির জন্য। কিন্তু তাদের ফুটবলার মাহমুদ ট্রেজেগুয়েটের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন মায়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। ম্যাচজুড়ে এমন সব সেভের জন্য তিনি ম্যাচসেরাও হয়েছেন। অবশ্য আহলির গোলরক্ষক মোহামেদ আল এলশেনাওয়ি-ও বারবার হতাশ করেন মেসিদের।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই আল-আহলির আবু আলি প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু বক্সে ঢুকে তিনি বিলম্বে শট নেন মায়ামি গোলরক্ষকের হাতে। পরে জানা যায় অফসাইড ছিল সেটি। তিনি মিনিটের মাথায় আবারও মায়ামির রক্ষণে হানা। তবে ইমাম আশুরের শট ঠেকাতে এগিয়ে এসে এবারও ঢাল বনে যান গোলরক্ষক উস্তারি। তাকে একা পেয়েও গোলবঞ্চিত আহলি। ১৫ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মায়ামি। কিন্তু ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য শটটি মেসি বেশ বাইরে দিয়ে মারেন। এভাবে দুই দলই আক্রমণ শাণালেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল অনেকটাই আহলির কাছে।

আরও পড়ুনঃ  দৃশ্যমান বিচার ও সংস্কারের কাজ জাতি প্রত্যাশা করে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

৩২ মিনিটে এক ফাঁকা হেডার থেকেও অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মায়ামিকে বাঁচিয়ে দেন। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়েই উভয় দল বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। তবে নিজেদের বক্সে আহলি ফুটবলারকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় মায়ামি। স্পট কিকে ট্রেজেগুয়েট মায়ামি গোলরক্ষককে বিচলিত করতে পারেননি। বরং বল মেরেছেন তার হাতে। সেই স্বস্তি নিয়ে ফেরার পর মায়ামির ছন্দ ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। মেসিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তারা বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি হয়। ৬৪ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক একটুর জন্য জালের পাশে গিয়ে লাগে।

আরও পড়ুনঃ  জাফলংয়ে পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজমের মহাপরিকল্পনা

শেষ পর্যন্ত উভয় দল একের পর এক আক্রমণ শাণায়। গোলের সুযোগ থাকলেও প্রতিবারই দুই গোলরক্ষক দারুণ মুনসিয়ানা দেখিয়েছেন। শেষদিকে মায়ামির কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ফাফা ফিকোল্ট দারুণ হেডে প্রায় আহলির জালে ঠেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন আহলি গোলরক্ষক। এরপর তিনি আরও দুটি কর্নার থেকে আসা বল আটকান। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দল ডেডলক ভাঙতে পারেনি। ফলে স্কোরলাইন ০-০।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।