দুর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে ওয়াজেদ আলী (৭০) নামের এক হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।রোববার (১০ আগস্ট) সকালে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম (৬০) ও ছেলে মাসুম আলীও (২৮) আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মে হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে মারামারিতে হাসিবুর নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় ১৫ মে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় আসামি ছিলেন ওয়াজেদ আলী।
সম্প্রতি ওয়াজেদ আলী জামিনে বের হয়ে এলাকায় ছিলেন। আজ সকালে তিনি ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বিলের পশ্চিম পাশে নিজের পান বরজে কাজ করছিলেন। এ সময় একই গ্রামের একরামুল, ফয়সাল, এমদাদুল, হান্নান ও মান্নানসহ ১০-১৫ জন লাঠি, লোহার রড, হাঁসুয়া ও রামদা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান।
হামলায় ওয়াজেদ আলীর মাথা, বাঁ হাতের কবজি ও পায়ে গুরুতর জখম হয়। এ ছাড়া তাঁর ছেলে ও স্ত্রী গুরুতর আহত হোন। তাঁদেরকে দুর্গাপুর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওয়াজেদ আলী।
ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ও সন্তান আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। প্রতিপক্ষের ভয়ে আমরা নিজ বাড়িতে উঠতে পারি না। নানা সময় তারা হুমকি-ধমকি দেয়। এজন্য আমরা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকি। আজ রোববার সকালে পান বরজে গেলে আমার স্বামী-সন্তানকে হত্যা করতে তারা হামলা চালায়।’
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আগের একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ওয়াজেদ আলী নামের একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।