হেলাল উদ্দীন, বাগমারা : সবাইকে নিয়ে দুনীর্তি মুক্ত বাগমারা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেনরাজশাহীর-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ গফুর ও তার ছেলে সাবেক মেজর আব্দুল্লাহ আল ফারাবী (শ্যামল)।
সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংগে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সারা দেশের ন্যায় বাগমারার জনসাধারণ মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সময়ে অবিচার, নিপীড়ন ও ঘুষ-দুনীর্তি অবসান করকে চাই। আমি ও আমার সন্তান কোন টাকা পয়সার লোভে এমপি নির্বাচন করছি না। দুনীর্তিমুক্ত বাগমারাকে গঠন করবো। আমাদের কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। বাগমারাবাসীর সেবা করাই আমাদের মুল লক্ষ্য।
১৯৭৮ সাল থেকে পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আপনারা জানেন আমি বিএনপির মনোনয়নে দুইবার নির্বাচন করেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নন নিয়ে রাজশাহী-৩ (বাগমারা-মোহনপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছিলাম।
একবার নির্বাচিত হলেও পরের বার ২০০৮ সালে দলীয় আভ্যন্তরিন দলীয় কারণে সামান্য ভোটে পরাজিত হয়। তবে ওই সময়ে নির্বাচত অন্য আসনে নির্বাচিত দলীয় প্রার্থীদের চেয়ে বেশী ভোট পেয়েছিলাম। দীর্ঘ ৮ বছর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিষ্ঠ আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমরা সক্রিয় ছিলাম। সব সময় বাগমারাবাসীর পাশে আছি এবং আগামীতেও থাকবো।
বক্তব্যে তিনি পিতা ও পুত্র দুই জনই মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান। একই সময় তার ছেলে সাবেক মেজর আব্দুল্লাহ আল ফারাবী বলেন, আমি আমার পিতার আদর্শ ধরে এলাকার লোকজনদের সেবা করতে চাই। বিএনপি একটি মধ্যপন্থি দল হওয়ায় এ দলকে আমি হৃদয়ে দালন করি। এটি আমাদের পারিবারিক শিক্ষার ধারাবাহিকতা। মনোনয়নে পিতা-পুত্র দুইজনই চাইবো। এছাড়া দল যাকে মনোনয়ন দিবেন তার হয়ে কাজ করবেন বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।
এ সময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, উপজেলা মৎস্যদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুনাক্কা, কৃষক দলেরআহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন, ভবানীগঞ্জ পৌর নেতা তোফায়েল উদ্দিন ফরিদ, বিএনপি নেতা, বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মশিউর রহমান, শাহিন আলম, জামাল উদ্দিন, আকতারুজ্জামান রিপন হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।