নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। সকাল ১১:২৫। ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জন শিশু

জুলাই ২২, ২০২৫ ১১:১৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জন শিশু বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছাড়া বাকি সবাই শিশু। প্রাপ্ত বয়স্কদের একজন পাইলট তৌকির ইসলাম ও একজন শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৮ জন।

আরও পড়ুনঃ  জাকসু নির্বাচন, জাহানারা ইমাম হলে সমান ভোট পেয়ে এজিএস দুজন

অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে ভর্তি আছে ৪২ জন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন আছেন ২৮ জন। সেখানে সবমিলিয়ে ১৫ জনের মরদেহ ছিল। পাইলট তৌকিরের মরদেহ সিএমএইচে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৬ জনের মরদেহের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাদের ডিএনএ নেওয়া হয়েছ। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। সেখানে তিনজন এখন ভর্তি আছেন, যাদের দুইজন আইসিইউতে আছেন। এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালে একজনের মরদেহ আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৮ জন।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের মধ্যে পাঁচজন আইসিইউতে আছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এ পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুনঃ  তামান্না ভাটিয়ার সঙ্গে অপু বিশ্বাসের তুলনা করলেন মিষ্টি জান্নাত

আমাদের এ হাসপাতালের সঙ্গে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা আছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, তার ভিত্তিতে কারিগরি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রোগীদের কেইস সামারি তাদের পাঠানো হয়েছে। এ মুহূর্তে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সেই হাসপাতালে উপস্থিত আছেন। সেই হাসপাতালোর চিকিৎসকরা কেইস স্টাডি দেখে যদি মনে করেন কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠাবেন অথবা তাদের পরামর্শ অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রক্তদাতাদের হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এখন ১০০ জনেরও কম রক্তদাতা প্রয়োজন। তাই নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতা ছাড়া অন্যরা ভিড় করবেন না। আমাদের ব্যবস্থাপনা করতে অসুবিধা হয়।

আরও পড়ুনঃ  বগুড়ার বদলে রাজশাহীতে ম্যাচ, তবুও বৃষ্টিতে পণ্ড

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ১০ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে ৮ জন, ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে একজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনের মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোন হাসপাতালে কারা ভর্তি আছেন তাদের নামের তালিকা পাবলিক ডোমেইনে দেওয়া আছে, স্বজনদের অনুরোধ করব তারা যেন তা জানার চেষ্টা করেন, বলেও জানান তিনি।-ঢাকা পোস্ট

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।