নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ সোমবার। রাত ১১:৫৪। ১৭ নভেম্বর, ২০২৫।

নেত্রকোনায় সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নভেম্বর ১৭, ২০২৫ ৯:৪৬
Link Copied!

মহিউদ্দিন তালুকদার, নেত্রকোনা : ১৭ নভেম্বর শহরের মুক্তার পাড়া এলাকার জেলা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে সকাল ১১ টায়  নেত্রকোনায় সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকিরের ওপর হিংস্র হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানব বন্ধন হয়। উক্ত হামলায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সমাজের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আহত লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকির বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। জেলার সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারজাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদাৎ নাজু,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোণা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবা‌দিক ম‌হিউ‌দ্দিন তালুকদার , জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি সারোয়ার পারভেজ বাবু ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক তানজিলা শাহ রুবি, এবং হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকির প্রমুখ।

দুর্গাপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে ,গত ১০ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ২.৩০টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য লুৎফুজ্জামান ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ -জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পাড় হতে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে করে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে যান এবং তাঁদের মধ্যে ২ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাপাতি হাতে নিয়ে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। সঙ্গে থাকা সহকর্মী শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সর্বশেষ তিনি রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা শেষে গতকাল বাড়ি ফিরেন। তবে এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি।

এ ঘটনায় হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান নিজে বাদী হয়ে রবিবার দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন।

এতে দুর্গাপুর পৌরশহরের পশ্চিম মোক্তারপাড়া এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে ইমরান ইসলাম ইমন (২৩) ও পুলিশ মোড় এলাকার আবুদল লতিফের ছেলে মো. সৌরভের (২৩) নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়। তবে পুলিশ এখনো কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি।

এ মামলায় উল্লেখিত আসামিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।