স্টাফ রিপোর্টার : পড়াশোনায় সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে রাজশাহীর পবা উপজেলার ৩৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থী পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা ও আর্থিক সম্মাননা। সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (চইএঝঋও)’ স্কিমে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা করে, আর এইচএসসি উত্তীর্ণরা পেয়েছেন ২৫ হাজার টাকা করে, যা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. আবদুর রশিদ। সভাপতিত্ব করেন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ।
প্রধান অতিথি বলেন, “এই সম্মাননা কেবল অর্থ সহায়তা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি জাতির প্রত্যাশার প্রতীক। এই তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশকে পথ দেখাবে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, “পবা উপজেলাকে রাজশাহীর মডেল শিক্ষাক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই মেধাবীরাই হবে সেই অগ্রযাত্রার দূত।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বকে সমাজে তুলে ধরার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ পথচলায় প্রেরণা জোগাবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন প্রামাণিক। তাঁর বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা।
পুরস্কার পেয়ে আবেগাপ্লুত কবির সরকার বলেন, “এই সম্মান আমার পরিশ্রমের স্বীকৃতি। সামনে আরও ভালো কিছু করার জন্য এটি আমাকে উদ্বুদ্ধ করবে।”
শিক্ষানুরাগীরা মনে করছেন, মেধার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি শিক্ষার গুণগত উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা গড়ে তুলবে। এই আয়োজন পবার শিক্ষা অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।