অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র যোদ্ধাদের হামলায় গতকাল সোমবার দখলদার ইসরায়েলের ৫ সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। নতুন করে এ পাঁচ সেনার মৃত্যুর পর ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হয়েছে।
এরমধ্যে ইহুদিদের ধর্মীয় নেতা সাবেক প্রধান রাব্বি এবং শাহদের গুরু ইয়িতজাক ইউসুফ বলেছেন, ঠিক মতো তোরাহ (তাওরাত) না পড়ায় হয়ত ওই পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। তিনি তাওরাত পড়ার ক্ষেত্রে সবাইকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তাওরাত মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (আ.) ওপর নাজিল করেছিলেন। তবে আল্লাহর নাজিলকৃত তাওরাত থেকে ইহুদিদের পঠিত বর্তমান তাওরাতে পার্থক্য রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ইহুদিরা এটি বিকৃত করেছে। যা মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনেও বলেছেন।
গতকাল গাজায় যে পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে তাদের চারজন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতি-গোঁড়া নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন।
ইহুদি ধর্মগুরু ইয়িতজাক ইউসুফ দীর্ঘ সময় ধরেই বলে আসছেন, যারা ইহুদি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে তাদের যেন সেনাবাহিনীতে যুক্ত না করা হয়। এতে তোরাহ পাঠ বিঘ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইহুদি ধর্মগুরুদের বাধা সত্ত্বেও ইহুদি প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরতদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে নির্দেশনা প্রদান করা শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
সাধারণ ইসরায়েলিদের মতো অতি-গোঁড়া ইহুদি শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা নিয়ে ইসরায়েলে গত কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থা চলছে। এরমধ্যেই গাজায় চার অতি-গোঁড়া চার ইহুদি সেনার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল