সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগর উপজেলায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ফ্রিল্যান্সার ভাগনের বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী মামার বিরুদ্ধে। এতে ৭-৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ইমন মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাঁতিবন্ধ ইউনিয়নের হুদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ইমন মাহমুদ হুদারপাড়া গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে। তিনি ফ্রিল্যান্সিং করে জীবনযাপন করেন।
অভিযুক্ত টুটুল মোল্লা ওই এলাকার আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে। তিনি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। একাধিক মামলার আসামি। আগে আওয়ামী লীগ পরিচয় দিতেন। এখন বিএনপি নেতা পরিচয় দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইমন মাহমুদ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা জোগাড় করে একটি দোতলা বিশিষ্ট একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করছেন। প্রায় বছর খানেক ধরে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন কয়েকজন মিস্ত্রি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তার আপন মামা টুটুল মোল্লা। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ভাগনে ইমনকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়াও শ্রমিকদের ব্যাপক মারধর এবং বাড়ির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন এলাকার ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পারিবারিক আপস মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে টুটুল মোল্লা ও তার ক্যাডার হাসান আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নির্মাণাধীন বাড়িতে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র, সিমেন্ট, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, স্যানিটারি সামগ্রী, আইপি, মূল্যবান কাগজপত্র, পানি তোলার মটরসহ ঘরে আগুনে পুড়ে যায়। এতে আনুমানিক ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ভুক্তভোগী ইমন মাহমুদ বলেন, আমার আপন মামা আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এর চেয়ে আর দুঃখজনক ঘটনা কী হতে পারে? চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। সে চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাকে সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে চেনে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত টুটুল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ জন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করা হয়েছে। মামলা নথিভুক্ত করা হবে।