বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা একটি ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত ছিল। বহুজাতিক, বহুভাষিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ এই অঞ্চলটি রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক জটিলতার কারণে যুগের পর যুগ উন্নয়নের মূলধারার বাইরে থেকে গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে গুণগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত নানা উদ্যোগ এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং সামাজিক সংগঠনের যৌথ পরিকল্পনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এক নবযাত্রা শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রায় সহস্রাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাছাইকৃত ৩’শ টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হয়েছে। এসব ক্লাসরুমে অ্যানিমেশন, ভিডিও এবং কুইজের মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো সহজবোধ্য করে তোলা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ ও দক্ষতা বাড়াচ্ছে। খাগড়াছড়িতে ইংরেজি কারিকুলামের স্কুল প্রতিষ্ঠা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার দরজা খুলে দিয়েছে, ফলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করছে।
শিক্ষা অবকাঠামোর উন্নয়নও এই পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দুর্গম এলাকায় ছাত্রাবাস নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া সহজ করা হয়েছে। নতুন ভবন, টয়লেট এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা শ্রেণিকক্ষের পরিবেশকে আগের চেয়ে উন্নত করেছে। এসব পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পাঠ্যবিষয় বুঝতে সহায়তা করা হচ্ছে, যার ফলে ড্রপআউটের হার কমেছে এবং শেখার আগ্রহ বেড়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে দক্ষ শিক্ষক অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের ফলে শিক্ষকরা পাঠদান পদ্ধতিতে আরও দক্ষ, সহানুভূতিশীল এবং প্রযুক্তি-সক্ষম হয়ে উঠছেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর, ব্যাখ্যা এবং মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। প্রতিটি জেলায় ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থায় অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে, যা সাংস্কৃতিক প্রাসঙ্গিকতাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই সময়োপযোগী উদ্যোগগুলোর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষায় প্রবেশাধিকার আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গম এলাকায় স্কুল-কলেজ ও হোস্টেল প্রতিষ্ঠা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বাড়িয়েছে। মেয়েদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা করায় ঝরে পড়ার হার কমেছে। ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং ইংরেজি কারিকুলামের স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। শহরের দক্ষ শিক্ষকরা অনলাইনে পাঠদান করতে পারায় মানের ভারসাম্য নিশ্চিত হচ্ছে। মাতৃভাষায় পাঠদান শিশুদের শেখার পথ সহজ করেছে। বাংলা ভাষায় দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষা শেখার আয়োজন শিক্ষাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করেছে। শিক্ষার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামাজিক সংহতি ও সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মপরিচয়ের বোধ জাগিয়ে তুলছে। ফলে পার্বত্য জনগোষ্ঠী জাতীয় উন্নয়নের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তবে এসব উন্নয়নের পাশাপাশি কিছু কাঠামোগত ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়ে গেছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, সংকীর্ণ রাস্তা ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা কঠিন। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাব ডিজিটাল ক্লাস পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। প্রযুক্তিনির্ভর বিজ্ঞান, গণিত, আইসিটি ও ইংরেজিতে দক্ষ শিক্ষক পার্বত্য এলাকায় সীমিত, যা কারিকুলামের সফল বাস্তবায়নে অন্তরায়। ভাষাগত বৈচিত্র্য ও পাঠ্যবইয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে মাতৃভাষাভিত্তিক শিক্ষা এখনও সীমিত পরিসরে চলছে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও জাতিগত বিভাজন শিক্ষার পরিবেশকে প্রভাবিত করে, এবং অনেক অভিভাবক সচেতনতার অভাবে মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারেন না, যার ফলে অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহার একটি সম্ভাবনাময় পথ। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চলতি বছরের মধ্যে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এক’শ টি স্কুলে ই-লার্নিং চালু করা হবে। এই উদ্যোগ শিক্ষায় প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটাবে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে যাবে। শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে। পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠবে, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সহায়ক হবে। গেইম, কুইজ ও ভিডিও লার্নিং-এ আগ্রহ বাড়বে। বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় সোলার প্যানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সাবসিডির মাধ্যমে সোলার প্যানেল সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের ট্যাব, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার প্রদান এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। সমন্বিত প্রয়াস, উপযুক্ত পরিকল্পনা ও সমবায়ের মাধ্যমে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব। স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী কার্যকরী নীতি গ্রহণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও নিয়োগে গুরুত্ব প্রদান, ইন্টারনেট সংযোগ ও বিদ্যুৎ সমস্যার টেকসই সমাধান, মাতৃভাষার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ, সম্প্রদায় ও অভিভাবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শিক্ষায় অরাজনৈতিক পরিবেশ ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে গুণগত শিক্ষাব্যবস্থা সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব।
আশার কথা হলো, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বিশেষ শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের জন্য পৃথক পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকে। শিক্ষা অবকাঠামোর উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে, দুর্গম এলাকায় নতুন স্কুল নির্মাণ ও পুরাতন স্কুলের সংস্কার করা হয়েছে। আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করে দূরবর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সোলার বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বাধা কমানো হয়েছে। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষকরা আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি আয়ত্ত করছেন।
বহুভাষিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে মাতৃভাষাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ভাষায় পাঠ্যবই প্রকাশ করা হয়েছে। এনজিও ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষা উন্নয়নে সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। ইইউ, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ব্রাক, সেভ দ্যা চিলড্রেন-এর মতো সংস্থাগুলো কমিউনিটি স্কুল ও মোবাইল শিক্ষা ইউনিট চালু করে শিক্ষার সুযোগ বাড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও কাউন্সেলিং সেবা নিশ্চিত করাও গুণগত শিক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক শিক্ষার্থী পারিবারিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চাপে বেড়ে ওঠে, যা তাদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। দুর্গম এলাকায় শিক্ষার সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এই সমস্যা মোকাবিলায় বিদ্যালয় পর্যায়ে কাউন্সেলিং সেবা চালু করা জরুরি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউন্সেলর নিয়োগ, শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে।
কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। পাহাড়ি অঞ্চলের তরুণদের জন্য কৃষি, হস্তশিল্প, পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিবেশ সংরক্ষণভিত্তিক কারিগরি প্রশিক্ষণ চালু করা হলে তারা স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। এতে শিক্ষার সঙ্গে জীবীকার সংযোগ তৈরি হবে, যা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে এবং বেকারত্ব কমাবে। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোর্স চালু করা যেতে পারে। মেয়েদের জন্য সেলাই, ডিজাইন, ফুড প্রসেসিং ও আইটি প্রশিক্ষণ চালু করলে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নও সম্ভব হবে। কর্মমুখী শিক্ষা শুধু জীবীকা নয়, আত্মনির্ভরতা ও সামাজিক মর্যাদা অর্জনের পথও খুলে দেয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের দিক থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ একটি কৌশলগত বিনিয়োগ। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সামাজিক স্থিতিশীলতা, সাংস্কৃতিক সংহতি এবং পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখে। দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষিত তরুণরা স্থানীয় নেতৃত্বে আসবে, যা গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করবে। শিক্ষার মাধ্যমে নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা সহজ হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক পাঠ্যক্রম, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে এই অঞ্চলটি জাতীয় উন্নয়নের একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড়ি সমাজে মেয়েদের শিক্ষার হার তুলনামূলকভাবে কম, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। মেয়েদের জন্য নিরাপদ হোস্টেল, স্বাস্থ্যসেবা, মাসিক সচেতনতা, আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ এবং নারী শিক্ষকদের নিয়োগ শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে। বিদ্যালয় পর্যায়ে মেয়েদের নেতৃত্বে ক্লাব, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ক্রীড়া কার্যক্রম চালু করলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। নারীর নেতৃত্ব শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, পরিবার ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। মেয়েদের শিক্ষায় বিনিয়োগ মানে একটি প্রজন্মের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রসার পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ একটি নীরব বিপ্লবের সূচনা করেছে। এই বিপ্লব শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সূচক। প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি, নেতৃত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য, কর্মমুখী শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বয়ে এই অঞ্চলটি একদিন শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত হবে। প্রয়োজন শুধু ধারাবাহিকতা, আন্তরিকতা এবং সমন্বিত প্রয়াস। এই পথচলায় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সম্মিলিত অংশগ্রহণই পারে পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি শিক্ষাবান্ধব, শান্তিপূর্ণ এবং উন্নত অঞ্চলে পরিণত করতে।
মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পিআইডি ফিচার