নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। সকাল ১০:৩৭। ৯ জুলাই, ২০২৫।

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, লোকালয়ে ঢুকছে পানি

জুলাই ৮, ২০২৫ ১০:৩৮
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত দশটি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অন্তত ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ।

আরও পড়ুনঃ  বাগমারায় কাতিলা সবুজ সংঘ আদর্শ হাইস্কুল ও কলেজে হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা

সানজিদা আক্তার নামে শহরের একাডেমি এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, গত বছর বন্যার পানিতে বাসার নিচে তলিয়ে যায়। কিন্তু এবারই প্রথম বৃষ্টির পানিতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। এর আগে শুধুমাত্র বৃষ্টিতে এমন চিত্র কখনো দেখা যায়নি। কিছু জিনিসপত্র সরাতে পারলেও খাবার ও সুপেয় পানি নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রাশেদুল ইসলাম নামে পরশুরামের মনিপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, গেল বছরে বল্লামুখা বাঁধের ভাঙন স্থলের একটি স্থানে এখনো মেরামত কাজ শেষ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকদের গাফিলতির কারণে এমন হয়েছে। সেই জায়গা দিয়ে আজ আবারও পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে না আনলে প্রতি বছরই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

আরও পড়ুনঃ  আড়াইশর আগেই অলআউট বাংলাদেশ

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচটি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানব। মাঠপর্যায়ে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, একাডেমি, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। তবে বিকেল থেকে এ পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  নিয়ামতপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলীর ইন্তেকাল

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, দুপুরে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোর বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।