নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা রবিবার। সকাল ১০:২৮। ২০ জুলাই, ২০২৫।

বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেলেন ২৩০৩ শিক্ষার্থী

জুলাই ১৯, ২০২৫ ৬:০৮
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবে ৫৬টি স্কুলের ২ হাজার ৩০৩ জন বই পড়ুয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব খোন্দকার আজিম আহমেদ, এনডিসি, বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী,জনাব আফিয়া আখতার, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী, জনাব ইনাম আল হক, বাংলাদেশি পাখি বিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রী, লেখক ও পর্যটক, ডা. আবদুন নূর তুষার, ট্রাস্টি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, অধ্যাপক অলোক মৈত্র, সংগঠক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, নাটোর, জনাব মোহাঃ আবদুর রশিদ, উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চল, অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম তরু, লেখক, গবেষক ও সংগঠক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জনাব মাহমুদুল হাসান, রিজিওনাল হেড, বিজনেস সার্কেল, রাজশাহী, গ্রামীণফোন লিমিটেড ও জনাব শামীম আল মামুন, পরিচালক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব শুরু হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে পর্বে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জনাব খোন্দকার আজিম আহমেদ (এনডিসি) বলেন, বই পড়া মানে জ্ঞান অর্জনের দরজা খুলে দেওয়া, বই পড়া আমাদেরকে মুক্ত ভাবে ভাবতে শেখায়। তাই ছাত্রছাত্রীদের বেশি বেশি বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

আরও পড়ুনঃ  সুস্মিতার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে সৃজিত বললেন, ‘রিল্যাক্স’

বাংলাদেশি পাখি বিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রী, লেখক ও পর্যটক জনাব ইনাম আল হক পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বলেন, আমার মা ছিলেন আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক, তার কাছ থেকেই জীবনের পাঠ নিয়েছি। শিক্ষা জীবনে অনেক সাফল্য পেলেও মায়ের চোখে গৌরবের মানদন্ড ছিল ভিন্ন। আমি বিশ্বাস করি নারীর ভাষা, নারীর জ্ঞান দিয়েই পরিবার ও সমাজের সুন্দর করা সম্ভব বলে তিনি জানান।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের ঘরে আজ রবীন্দ্রনাথ নেই, তবুও তাঁর ভাবনা আমাদের হৃদয়ে বেঁচে আছে। নজরুলের বিদ্রোহ আর হুমায়ুনের ভাষা প্রতিদিন স্পর্শ করে আমাদের। তাই কোন কিছু পরিবর্তন করতে হলে বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে বিশেষ অভিযানে ১ জনসহ মোট গ্রেপ্তার ২০

গ্রামীণফোনের রাজশাহী অঞ্চলের রিজিওনাল হেড জনাব মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে যেন মানবিক ও মানসিক উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটে, এজন্য গত দুই দশক ধরে এই মহতী উদ্যোগের পাশে আছে গ্রামীণফোন। বই পড়া কর্মসূচিতে আজকের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের জানাই অভিবাদন। তরুণদের জ্ঞানের বিকাশ এবং মানসিক উৎকর্ষতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই আলোকিত মানুষ গড়ার অংশ হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে বই পড়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরাও গর্বিত।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক জনাব শামীম আল মামুন স্বাগত বক্তব্যে বছরজুড়ে বইপড়া কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান। দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। আগামী বছরগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

আরও পড়ুনঃ  গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রদলের স্মরণসভা

দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে রাজশাহী মহানগরীর ৫৬টি স্কুলের পুরস্কার বিজয়ী ২ হাজার ৩০৩ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৩৮টি স্কুলের ১ হাজার ৬৬৪ জন সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে, তাদের মধ্যে ১২৪৪ জন ছাত্রী ও ৪২০ জন ছাত্র এবং ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্কুলের শিক্ষক/সংগঠক পুরস্কার গ্রহণ করেন। স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ১১১৭ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ৭২৮ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৩৮৩ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৭৫ জন।

দিনব্যাপী উৎসবের এ বিশাল আয়োজন ও পুরস্কারের বই স্পন্সর করছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।