নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। সকাল ১০:১৪। ১২ অক্টোবর, ২০২৫।

বড়াইগ্রামে টর্চ লাইটের আঘাতে খুন হয় দাদী, কথিত স্বামী সহ নাতনী আটক

অক্টোবর ৯, ২০২৫ ৬:০৬
Link Copied!

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে মমতাজ বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যার রহস্য তিনদিনের মধ্যে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। দাদী মমতাজ বেগমের মুখ মন্ডলে ও মাথায় টর্চ লাইট দিয়ে উপর্যুপরী আঘাত করে হত্যা করে নাতনী ফাউজিয়া আক্তার (২০)। পরে দাদীর হাতে ও কানে থাকা তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার খুলে নিয়ে কথিত স্বামী মিনারুল ইসলাম (২৫)কে সাথে নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে ফাউজিয়া।

পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় লোকেশন ট্র্যাক করে বৃহস্পতিবার ভোরে নাটোর শহরের হরিশপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের দুই জনকে আটক করে। হত্যাকান্ডের শিকার মমতাজ উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের সরদারপাড়া মহল্লার মৃত শফিউল্লাহ মিয়া ওরফে শফি ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী। হত্যার অভিযোগে আটক ফাউজিয়া একই মহল্লার মৃত শফিউল্লাহ মিয়ার ছোট ভাই হেদাউল্লাহ মিয়ার ছেলে শাহিনুজ্জামান শাহীনের মেয়ে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীর রেললাইনে পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়ার মিশ্রন

আটক ফাউজিয়ার কথিত স্বামী মিনারুল একই উপজেলার মাঝগাঁও গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।

বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান. বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শামীম হোসেন ও এএসআই রাজিব আলী এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। হত্যাকারী ওই তরুণী ফাউজিয়া টর্চ লাইট দিয়ে সম্পর্কে দাদী মমতাজের মুখমন্ডল ও মাথায় উপর্যুপরী আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে হাতে থাকা স্বর্ণের বালা-চুড়ি ও আঙ্গুলে থাকা স্বর্ণের আংটি, কানের দুল খুলে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  মেসিকে বাইরে রেখে একাদশ নিয়ে যে বার্তা দিলেন স্কালোনি

হত্যাকান্ড শেষে ফাউজিয়া তার কথিত স্বামী মিনারুলকে সাথে নিয়ে নাটোর শহরের তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করছিলো। পরে সেই স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে নতুন কাপড়-চোপড় কিনে লাগেজে ভরে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় যাওয়ার জন্য হরিশপুর বাসস্ট্যান্ডে আসে। সেখান থেকে থানা পুলিশ তাদের আটক করে।

উল্লেখ্য, গত রবিবারে রাত ৮টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের সরদারপাড়া নিজ বাড়িতে খুন হন বৃদ্ধা মমতাজ। ফাঁকা বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। দায়িত্বরত প্রহরী এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সুযোগে ওই বৃদ্ধাকে টর্চ লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও মুখমন্ডল থেঁতলে হত্যা করে তার পরিহিত সকল স্বর্ণালঙ্কার খুলে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ম্যাচ অফিসিয়ালের দায়িত্বে যারা

এ ঘটনায় নিহত মমতাজের মেয়ে সুফিয়া খাতুন বেবি বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে থানা পুলিশ তিনদিন পর হত্যাকারী নাতনী ও নাতনী জামাইকে আটক করে।

থানার ওসি আরও জানান, আটককৃত ফাউজিয়া ও তার স্বামী মিনারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।