স্টাফ রিপোর্টার : গত রবি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গম, ভুট্টা, আলু, বিভিন্ন সবজিসহ বেশিরভাগ ফসলের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। জেলাটির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্রটির তথ্য মতে, এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি জমিতে গম চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫২১ মেট্রিক টন, গত বছর যা ছিলো ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৫ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। চাষকৃত ১ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ্আলুর উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার ২ মেট্রিক টন যা গতবারের তুলনায় ১ হাজার ৮১ মেট্রিক টন বেশি। ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি জমিতে এবং গতবারের তুলনায় হেক্টরপ্রতি প্রায় আধা মেট্রিক টন বেশি ফলন হয়েছে ।
তবে, ২০২৪-২৫ সনের রবি মৌসুমে ৫১ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয় ৪৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে যা মূল লক্ষ্যমাত্রার ৯২ শতাংশ। আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না হলেও এ বছর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন গত বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর যেখানে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ছিলো ৪ দশমিক ৬৬ মেট্রিক টন এই বছর তা বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন।
এছাড়াও চিনাবাদাম, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক। ফলে গতবারের তুলনায় উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দপ্তরটির উপপরিচালক বলেন, বর্তমানে প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি নতুন কিছু ফসল, যেমন: সাম্মাম, হলুদ ও কালো তরমুজ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি চাষ এবং রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবসার (ভার্মিকম্পোস্ট, ট্রাইকোকম্পোস্ট) ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া বাড়তি জমির প্রয়োজন ছাড়া বস্তায় আদা চাষের মতো নতুন উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে চাষের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে যা আমদানি ব্যয় কমাতে অবদান রাখবে।
কৃষকদের প্রণোদনা প্রসঙ্গে উপপরিচালক জানান, ধান, গম, সরিষা, পেঁয়াজ, পাট, তুলা, মসুর, মুগ – এ ফসলগুলোতে সাধারণত প্রণোদনা দেয়া হয়। তিন মৌসুমে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হয়ে থাকে। চলতি জুন মাসে ৬ হাজার ৮০০ জন কৃষককে আমন ধানে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি ।