ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস ও পুলিশের করা মামলার প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদ ও ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে উপজেলার গোলচত্বর ও আশপাশের এলাকায়। বন্ধ রয়েছে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা । এই আন্দোলন ঘিরে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি বিকেল ৩টার পর থেকে কিছুটা শান্ত হয়েছে।
দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভাঙ্গা গোলচত্বর ও আশপাশের এলাকায় হাজারো মানুষ অবস্থান করলেও বিকেল ৩টার পর থেকে ধীরে ধীরে তারা ঘরে ফিরে যায়। বর্তমানে ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকা ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে অলিগলিতে এখনো অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা।
এখনো ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকা যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা সদরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পুখুরিয়া, মাধবপুর, হামিরদী, নওয়াপাড়া ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ ও সুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল থেকে অবরোধকারীরা অবস্থান করছেন। এজন্য ওই দুই মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা করেছে একদল বিক্ষোভকারী। ছবি: প্রতিনিধি
দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, থানায় হামলা ও অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধরও করে।
এদিকে ভাঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে থানার ওসি, ভাঙ্গা সার্কেল এএসপি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কারো ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান বিকেলে জানান, জনগণ ঘরে ফিরে গেছে। মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী নামে দুটি ইউনিয়ন কেটে নিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আসনগুলোর পূর্বের অবস্থা বহাল চান। আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার থেকে টানা তিন দিন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি চলছে। বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকায় চলে আসেন। দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ, থানায় হামলা ও অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।